BRAKING NEWS

Employment of Divyang’s daughter : দিব্যাঙ্গ কন্যার কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কুলকিনারা পাচ্ছেন না অসহায় পিতা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ আগস্ট।। নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রের পূর্ব নলছড় এলাকার বাসিন্দা সত্য রঞ্জন দাসের দিব্যাঙ্গ কন্যার কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কুলকিনারা পাচ্ছেন না অসহায় পিতা।ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কবিতার ভাগ্যে জুটল জন্মের পর থেকেই বিড়ম্বনা। নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রের নলছড় আর ডি ব্লকের অন্তর্গত পূর্ব নলছড় এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সত্য রঞ্জন দাস। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের নাম কবিতা দাস।

সে জন্ম থেকেই ১০০ শতাংশ বিকলাঙ্গ। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। তবুও এই বিকলাঙ্গ মেয়ে কবিতার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার বাবা তাকে বহুকষ্টে মাধ্যমিক পাস করায়। শুধু এই টুকুই আশা যে তাদের অবর্তমানে যেন কবিতা নিজের প্রতিপালন নিজেই করতে পারে। তাই একটু সরকারি সাহায্যের আশায় প্রতিনিয়ত সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় কাকুতি-মিনতি করে চোখের জলে বুক ভাসিয়েছেন কবিতার বৃদ্ধ বাবা। কিন্তু প্রতিশ্রুতির বন্যা দেখা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কবিতা ১০০ শতাংশ বিকলাঙ্গ হওয়ার সরকারি সার্টিফিকেটও আছে। যেখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে সে ১০০ শতাংশ বিকলাঙ্গ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ক্ষমতায় আসার আগে দলীয় কাজে নলছড় গিয়েছিলেন।

সেখানে তিনি এই বিকলাঙ্গ কবিতার করুণ কাহিনী শুনে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে কবিতার করুণ অবস্থা দেখে তিনি কবিতার বাবাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে যদি কবিতা মাধ্যমিক পাশ করে তবে তাকে যেভাবেই হোক একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন ।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার থেকেও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় সে আশায় বুক বেঁধে কবিতার বাবা নিজের সহায় সম্বল টুকু দিয়ে খুব কষ্ট করে কবিতাকে মাধ্যমিক পাস করিয়েছেন। ২০১৯ সালে কবিতা মাধ্যমিক পাস করলেও আজ পর্যন্ত কোন ধরনের সরকারি সাহায্য তার ভাগ্যে জুটেনি।

শুধু জুটেছে বিড়ম্বনা আর হাহাকার। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এর সঙ্গেও কোন ধরনের সাক্ষাতের সুযোগ তিনি পাননি। তাই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কবিতার বাবার করুন আবেদন যে মুখ্যমন্ত্রী যেন বিকলাঙ্গ কবিতাকে একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেন যাতে সে ভবিষ্যতে নিজের প্রতিপালন সে নিজেই করতে পারে। খবর সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার দরিদ্র দূরীকরন কমিটির চেয়ারম্যান রতন দাস । এই অসহায় ও বিকলাঙ্গ কবিতার ভাগ্যে এখন সরকারি সাহায্য বা কোন সরকারি চাকরি জুটবে কিনা সেই আশায় পথ চেয়ে আছে বিকলাঙ্গ কবিতা সহ তার অসহায় সম্বলহীন পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *