নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ অগাস্ট।। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় রেলে করে যাওয়ার পথে এক প্রতারক যুবকের খপ্পরেপড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবতী। প্রতারক যুবক তার কাছ থেকে নগদ টাকা সোনার চেইন এবং মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রেল স্টেশনে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবতী অবশেষে থানায় আশ্রয় নিয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত শুক্রবার আমতলী থানাধীন কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়া এলাকার ফাতেমা খাতুন এর২১ বছর বয়সি মামনি বেগম তার মার সাথে ঝগড়া করে অভিমান করে আগরতলা রেল স্টেশনে গিয়ে রেলে বহি রাজ্য যাবার জন্য গেলে বিলোনিয়া রাজনগর এলাকার সুব্রত শীল নামে এক প্রতারকের খপ্পরে পড়েে।
মামনি বেগম নামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবতীটির কাছ থেকে প্রতারক স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ২ হাজার টাকা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়়। যুবতীকে বলা হয় চেন্নাইয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে কাজ দেওয়া হবে ।পরবর্তী সময়ে রেলে যাবার সময় বিহারের কিশান গঞ্জ রেল স্টেশনে গেলে অন্যান্য যাত্রীরা প্রতারণার বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। তখনই মেয়েটি যাত্রীদের সাহায্য নিলে স্টেশনের যাত্রীরা প্রতারক যুবক সহ মেয়েটিকে কিশান্গঞ্জ পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের হাতে তুলে দিলেও প্রতারক সেখান থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যুবতী মেয়েটিকে কিশান্গঞ্জ থানার পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা নাগাদ কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়া এলাকায় ওই প্রতারক যুবকটি মামনি বেগমের বাড়িতে এসে একজন ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করে।
স্থানীয় জনগণ প্রতারক যুবককে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে আমতলী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মামনি বেগম এর মা ফাতেমা খাতুন জানিয়েছেন প্রতারক সুব্রত শীলের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উনার দাবি পুলিশ যেন এই প্রতারককে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত প্রতারক সুব্রত শীলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমতলী থানার পুলিশ একটি প্রতারণার মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত প্রতারককে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ও দায়রা জজের আদালতে পাঠানো হবে। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।