নয়াদিল্লি, ৪ আগস্ট (হি.স.) : সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ নিয়ে কোনও রকম পুনর্বিবেচনা করবে না কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে ইউনিয়ন মুসলিম লিগের তরফে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও সেই বিষয়ে সাড়া দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ছাড়া অন্যে সংখ্যালঘুদের সিএএ-এর আওতায় আনাও হবে না বলে রাজ্যসভায় জানিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই স্পষ্ট করে দেন, সিএএ নিয়ে কোনও রকম পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে না কেন্দ্র। এমনকি পূর্বে ঘোষিত ৬টি ধর্মীয় গোষ্ঠী ছাড়া আর কোন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সিএএ-এর আওতায় আনা হবে না। মন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে রাজনৈতিক মহলের কাছে স্পষ্ট যে, পরোক্ষভাবে মুসলিমদের এই বিলের আওতায় না আনার কথাই রাজ্যসভায় ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। মূলত হিন্দুত্ববাদী অবস্থানে দাঁড়িয়েই সিএএ নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসে কেন্দ্র। সিএএ আসলে হল একটি ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন। এই বিল অনুসারে প্রতিবেশী আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপিড়িত, আক্রান্ত, অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা আবেদনের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এই নাগরিকত্ব পাওয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই স্পষ্ট করে দেন, সিএএ নিয়ে কোনও রকম পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে না কেন্দ্র। এমনকি পূর্বে ঘোষিত ৬টি ধর্মীয় গোষ্ঠী ছাড়া আর কোন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সিএএ-এর আওতায় আসবেন না। সিএএ-এর মাধ্যমে নতুন নিয়ম নীতি চালু করার জন্য সংসদে ২০২২ পর্যন্ত সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।