BRAKING NEWS

Kailashahar-Dharmanagar road blockade : কৈলাশহর-ধর্মনগর সড়ক অবরোধ যুবককে বেধড়ক মারধর করার প্রতিবাদে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ অগাস্ট।। ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরের ভগবাননগর এলাকায় যুবককে বেধড়ক মারধর করার প্রতিবাদে এলাকাবাসী দীর্ঘক্ষন কৈলাশহর ধর্মনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। আহত নিরীহ যুবককে প্রথমে কৈলাশহর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তাকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।


কৈলাসহরের গাড়ি সিন্ডিকেটের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে ভাগবান নগর এলাকার নিরপরাধ আলমাস আলীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধর করার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ভাগবান নগর এলাকায় কৈলাসহর- ধর্মনগর রাস্তা অবরোধ করেন। গ্রামবাসীরা জানায়, কৈলাসহর শহরের গাড়ি সিন্ডিকেটের শ্রমিকরা সকাল দশটা নাগাদ চার গাড়িতে প্রায় চল্লিশ জন শ্রমিক একত্রিত হয়ে ভাগবান নগর এলাকায় হঠাৎ করে এসে আলমাস আলীর বাড়ির সামনে এসে তাকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে শ্রমিকরা পালিয়ে যায়়। জানা গেছে গ্রামের মানুষ তাদের পিছু ধাওয়া করলে শ্রমিকরা দুটি গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় এবং দুইটি গাড়ি এলাকায় রয়ে গেছে।

চারটি গাড়ির মধ্যে TR02B2636 নম্বরের মেক্স গাড়ি এবং TR02B2351নম্বরের উইংগার গাড়ি নিয়ে যেতে পারেনি। উত্তেজিত গ্রামবাসীী গাড়ি দুটোকে ভাংচুর করে । ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী কৈলাশহর ধর্মনগর পথ অবরোধ করেন। গুরুতর জখম হওয়া আলমাস আলীকে চিকিৎসার জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আলমাস আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়াতে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক আলমাসকে আগরতলায় রেফার করে দেন। গ্রামবাসীরা জানান যে, আলমাস আলী নিতান্তই গরীব এবং পেশায় ডেকোরেটারের শ্রমিক। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে কৈলাসহর থানার ওসি-এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ এবং টি.এস.আর বাহিনী ঘটনাস্থলে যায় ।

জিসিএম জয়ন্ত জমাতিয়াও ঘটনা স্থলে গিয়ে আলমাস আলীর চিকিৎসার দায়ভার সরকারিভাবে নেওয়ার আশ্বাস দেন। গ্রামবাসীদের উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।


অবরোধকারীরা জানায় , রাস্তা অবরোধ সকাল সাড়ে দশটা থেকে প্রায় তিন ঘন্টা চললেও প্রায় একঘন্টা পর কৈলাসহর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অথচ কৈলাসহর থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। তবে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, দুই গাড়ির মধ্যে অভার টেক নিয়েই মূল ঘটনার সূত্রপাত। যে গাড়ির চালক ওভারটেক করেছিল তাকে না পেয়ে আন্দাজ করে নিরপরাধ আলমাস আলীকে বেধড়ক মারধর করে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, নিরপরাধ আলমাস আলী নিজে কোনো দিন গাড়িও চালায় নি বলেও জানা যায়। অথচ, সিন্ডিকেটের শ্রমিকরা আলমাস আলীকে গাড়ির চালক ভেবে বেধড়ক মারধর করায় গোটা এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *