BRAKING NEWS

Subal Bhowmik returned to trinamool : তৃণমূলে ফিরলেন সুবল ভৌমিক, ঘর অন্ধকার কংগ্রেসের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জুলাই ।। ঢাকি সুদ্ধ বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেস থেকে এক ঝাঁক নেতা আজ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। অবশ্য সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে ওই কার্য সম্ভব হয়েছে। তৃণমূলের জন্য অবশ্য ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। এদিন সন্ধ্যায় তিনি দাবি করেন, বিজেপিকে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আনতে ১০০ শতাংশ চেষ্টা করেছি। এখন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় সরকার গঠন সম্ভব হবে, ১০০ শতাংশ নিশ্চিত আমি। তবে, সুবল ভৌমিকের রাজনৈতিক জীবনী অতিরঞ্জিত, অন্তত ত্রিপুরাবাসী তা ভালই জানেন।


এক সময়ে সুবল ভৌমিক কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। ২০১৩ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস নামে নতুন দল গঠন করেন। এরপর তিনি ওই দল বিলোপ করে তৃণমূলে মিশে যান। তৃণমূলেও বেশি দিন ঘর করেননি তিনি। সেখান থেকে সদলবলে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে সহ-সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্ত, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে পছন্দসই আসনে প্রার্থী হতে না পেরে গোসা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না স্থির করেন। পরে অবশ্য, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হস্তক্ষেপে তিনি সোনামুড়া আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্ত জয়ী হতে পারেননি। তাই, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহুর্তে বিজেপি ছেড়ে তিনি পুণরায় কংগ্রেসে ফিরে যান। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে তিনি প্রার্থী হন। কিন্ত, ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাস। লোকসভা নির্বাচনেও তিনি পরাজিত হন।


তারপর থেকে অনেকটা সময় পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। মনে হয়েছিল, রাজনীতি থেকে সন্যাস নিয়েছেন। কিন্ত, গতকাল তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের সাথে গোপন বৈঠক সেরে আজ সোজা দলেই যোগ দিলেন তিনি। সাথে কংগ্রেস থেকে একঝাঁক নেতা-নেত্রীকেও নিয়ে গিয়েছেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দে, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস, কংগ্রেস নেতা ইদ্রিস মিঞা সহ আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সুবল বাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এনএসইউআই প্রদেশ সভাপতি রাকেশ দাসও তৃনমুলে যোগ দেবেন।
এদিন সুবল বাবু দাবি করেন, বিজেপিকে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এনে ভুল করেছি। সেই ভুল সংশোধনে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি। তিনি জোর গলায় বলেন, মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *