BRAKING NEWS

I-PAC members get bail in court : আই-প্যাক সদস্যরা জামিন পেলেন আদালতে, প্রয়োজনীয়তা ছিল না, বললেন ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জুলাই ।। ত্রিপুরা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে আই-প্যাকের সদস্যদের। তাই, কোন ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালেন তাঁরা। আদালতও তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী পিযুষ কান্তি বিশ্বাস। তবে, আগাম জামিনের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না বলে মনে করেন ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে। তাঁর কথায়, জামিন যোগ্য ধারায় কোন মামলায় আগাম জামিনের কোন প্রয়োজনীয়তা পড়ে না। অহেতুক আই-প্যাকের সদস্যরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।


আজ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইনজীবী পিযুষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, অযথা হয়রানির উদ্দেশ্যে আই-প্যাকের সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা নিয়েছে। তাঁরা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছে। অথচ কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘনের তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ তাঁর মক্কেলদের হোটেলে নজরবন্দী করে রেখেছে। তাঁর প্রশ্ন, আই-প্যাকের ২৩ জন সদস্য দাগী অপরাধী নন। পুলিশের আচরণ বেআইনি এবং অগণতান্ত্রিক। তাই, আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত সমস্ত বক্তব্য শুনে আবেদন মঞ্জুর করেছে।


তবে, এক্ষেত্রে সম্পুর্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে। তাঁর কথায়, জামিন যোগ্য ধারায় মামলায় আগাম জামিন নেওয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না। এ-বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হলে আগাম জামিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্ত, আই-প্যাকের সদস্যদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, সিআরপিসি ১৮৮ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে তাঁদের সমন পাঠানো হয়েছিল এবং ১ অগাস্ট হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্ত, পুলিশকে সহযোগিতা করার বদলে আজ তারা আদালতের দ্বারস্থ হন এবং আগাম জামিনের আবেদন জানান। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে।


তাঁর কথায়, ওই মামলায় থানা থেকেই জামিন পাওয়া যাবে। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের নোটিশ পাঠিয়ে বলেছিল থানায় গিয়ে কিছু প্রশ্নের দিতে হবে। সাথে কিছু নথি যা রয়েছে তা পুলিশকে দেখাতে হবে। তাঁর দাবি, পুলিশ আই-প্যাকের সদস্যদের গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতার করা হলে তবেই জামিনের প্রয়োজন আসে। এক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করার বদলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কারণ বোঝা গেল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *