BRAKING NEWS

Atithi Dev Bhava: অতিথি দেব ভবঃ এই দর্শনেই বিশ্বাস করেন ত্রিপুরাবাসী : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জুলাই ।। অতিথি দেব ভবঃ ত্রিপুরাবাসী বিশ্বাস করে এই দর্শনে। ফলে, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন ঠিকই, কিন্ত সে-বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি। তাঁর মতে, ত্রিপুরা তিনদিকে সীমান্ত ঘেরা পাহাড়ী রাজ্য। এই রাজ্যে উগ্রপন্থার দুর্বিসহ কালো অধ্যায়ের অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে মানুষের। তাঁর কথায়, কিছুদিনের মধ্যেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে, তার প্রস্তুতিও চলছে। ফলে, আই-প্যাক ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে তিনি মনে করেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বদলে উন্নয়নকেই প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রশ্নে পুলিশ আই-প্যাকের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে।


ত্রিপুরায় আই-প্যাকের সদস্যদের পুলিশী হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এই ইস্যুতে প্রতিবাদী হয়ে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রি ও সাংসদরা ত্রিপুরায় ছুটে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলের প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিল, সেজন্যই কি এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ত্রিপুরায়। এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সাফ কথা, আমার সাথে কি ঘটেছে বিষয়ে মনে রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তেমনি, কোন কথা বলতেও চাইছি না। যা ঘটেছে তা আমি সরলতার সাথে গ্রহণ করেছি। কারণ, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি তাঁকে বিনম্রভাবে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি প্রত্যয়ের সুরে বলেন, ত্রিপুরায় সকলেই স্বাগত। কারণ, অতিথি দেব ভবঃ এই দর্শনে আমরা বিশ্বাস করি।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, বাহবা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ত্রিপুরা পুলিশ নিজেদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছে। তাই, ত্রিপুরা সরকার কখনই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে রাখা উচিত সামনেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে রাজ্য। এদিকে ত্রিপুরায় কোভিড বিধিনিষেধও লাগু রয়েছে। পাশাপাশি, ত্রিপুরা তিনদিকে সীমান্ত ঘেরা পাহাড়ী রাজ্য। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় উগ্রপন্থার দুর্বিসহ কালো অধ্যায়ের অতীত অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তাই, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপে কোন অন্যায় হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। সাথে উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, কোন গ্রামে অপরিচিত মানুষের আগমন ঘটলে সকলেই জানার চেষ্টা করেন, তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন এবং কেনই বা এসেছেন। পুলিশও একই ভূমিকা পালন করেছে, পিঠ চাপড়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দৃঢ়তার সাথে দাবি করেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ত্রিপুরায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

আজ মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় হটাত তৃণমূলের সক্রিয় গতিবিধি নিয়ে প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, উন্নয়নই ত্রিপুরা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। সেদিকেই নজর রেখেছি আমরা। তিনি বলেন, দীর্ঘ বাম শাসনে ত্রিপুরায় শুধু নেতিবাচক মানসিকতা তৈরী হয়েছে। আজ সেই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটছে। ত্রিপুরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, যুব প্রজন্ম এখন স্বনির্ভর হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *