BRAKING NEWS

Trinamool activists arrested : কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘন করে শহীদ দিবস পালন, গ্রেফতার তথাকথিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই।। কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘন করে শহীদ দিবস পালন করার অপরাধে তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৫ জন কর্মী-সমর্থককে আজ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘন্টা খানেক তাদের অস্থায়ী আটক শিবিরে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেয়নি।


সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ২১ জুলাই শহীদ দিবস পালন করে আসছে বহু বছর ধরে। এ-বছরও আয়োজন হয়েছে। তবে, তৃণমূল নেত্রী আজ ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ফের তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ত্রিপুরায় সরকার গঠনের স্বপ্নে বিভোর তৃণমূলীরা। বিভিন্ন সময়ে তাদের ছোটখাটো কর্মসূচি নজরে আসছে। তেমনি, আজ ঊনকোটি জেলায় কৈলাসহর মহকুমায় গৌরনগরে পার্টি কার্যালয়ে শহীদ দিবস পালনের আয়োজন করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু, প্রশাসনের অনুমতি নেননি তাঁরা।


কৈলাসহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডা বলেন, আজ তৃণমূল কার্যালয়ে ২০/২৫ জন মিলে শহীদ দিবস পালনের আয়োজন করেছিলেন। তাদের রাজ্য নেতা আশীষ লাল সিংহের নেতৃত্বে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত, তারা প্রশাসনের কোন অনুমতি নেয়নি। পার্থ বাবুর কথায়, এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেট সাথে নিয়ে তৃণমূল পার্টি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। তাঁদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছি শহীদ দিবস পালনে তাঁরা কোন অনুমতি নেয়নি। ফলে, কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘনের দায়ে মেজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।


তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীদের আটক করে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছিল। তাঁরা মোট ৩৫ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জন মহিলাও ছিলেন। ঘন্টা খানেক পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পার্থ বাবু জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে এখনো মামলা করা হয়নি। আজকের ওই ঘটনায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বিদ্রুপ করে বলেন, ঢাল তলোয়ার ছাড়াই ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে বিভোর তৃণমূলের কর্মীরা। অথচ, সারা রাজ্যে কোন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারলেন না। আগরতলা কর্মসূচি শেষে জনৈক তৃণমূল কর্মী সাংবাদিকদের সামনে শহীদ দিবস পালনের প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি। ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে শেষে নিজের নাম জানাতেও ভয় পাচ্ছিলেন।


সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এখনো ত্রিপুরার জন্য কমিটি চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি এখনো। ফলে স্বঘোষিত নেতা আশীষ লাল সিংহ নিজেকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি দাবি করছেন। অতি সম্প্রতি তৃণমূলের সাংসদ ডারেক ও ব্রায়েন এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, ত্রিপুরার জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। স্বাভাবিকভাবে নেতা নির্বাচিত করেননি তৃণমূল নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে গৌরনগরে আজকের শহীদ স্মরণ কর্মসূচির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *