নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২০ জুলাই।। বিদ্যুৎ নিগমে অনিয়মিত কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়মিত না করায় সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অবিলম্বে তাদেরকে নিয়মিত করার দাবি উঠেছে। ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর কর্পোরেশনে পরিণত হওয়ার পর রাজ্যে ২০১৫ সালে তৎকালীন সরকার বিদ্যুৎ দপ্তর এর জন্য হেল্পপার গ্রেট টু পোস্ট এর জন্য ৪৫০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয় অর্থ দপ্তরের অনুমোদনক্রমে। চাকরি প্রাপকদের অফারে স্পষ্ট ভাবে লেখা রয়েছে’ পাঁচ বছর পূর্ণ হলে রেগুলার করা হবে’ ।কিন্তু ২০১৮ সালে ভারতের জনতা পার্টি সরকার গঠন হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত তাদেরকে নিয়মিত করা হয়নি। সাধারণ মানুষ ও কর্মচারী কর্মচারী মহল নতুন দিশাতে আশায় বুক বেঁধেছিল।
কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর হল বিদ্যুৎ দপ্তর। বিদ্যুৎ দপ্তরে নতুন কর্মী নিয়োগ তো দূরের কথা অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত পর্যন্ত করা হচ্ছে না। রোস্টার ডিউটির কথা বলে অফিসার বাবুরা সপ্তাহে একদিন আসলে আরেকদিন অফিসে আসেন না। বিদ্যুৎ নিগমের অনিয়মিত কর্মচারীরা কবে রেগুলার হবেন এ বিষয়ে জানতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, যাবতীয় ফাইল কমপ্লিট করে সেক্রেটারি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেক্রেটারি অফিসে কাজ কবে কমপ্লিট হবে ,আর কবে কর্মচারীর মুখে হাসি ফুটবে তা বলা মুশকিল। এই করোনা মহামারী বিপদকে সামনে রেখে প্রতিদিন ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ কর্মীরা সামান্য বেতনে কাজ করে চলেছেন। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে কাজ করে চলেছে বিদ্যুত কর্মীরা ।জনসাধারণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎকে সচল রাখতে রাত্রিকালীন সময় অবধি কাজ করতে হয় ।
এর পাশাপাশি কলসেন্টার কর্মীদের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য সামগ্রীর অভাব রয়েছে। কল সেন্টারে গাড়ির ব্যবস্থা নেই।কর্মীদের হেটে যেতে হয় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে হয় সারাাইয়ের কাজ করার জন্য। অভিযোোগ কর্মীদের জন্য নেই রেইনকোটের ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ কর্মীদের দেওয়া হয়নি ওভারটাইম কাজের মজুরি। ছুটির দিনেও কাজ করতে হচ্ছে পরিষেবাকে সচল রাখার জন্য। কিন্তু নিরব কেন সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার ১১ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথাা ঘোষণা করেছে। অথচ ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। বিদ্যুৎ দপ্তর লাইন ম্যানদের জন্য কোন প্রমোশন দিচ্ছে নাা। লাইন ম্যানের কাজ করতে হয় হেল্পার কমীরা। বিদ্যুৎ দপ্তরর মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নেই কোন ট্রেনিং সেন্টার ।
অনেক কর্মী কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। অনেকে আবার পঙ্গু হয়ে বিছানাতে। কর্মীদের জন্য ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করাা, লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা ,ছোট ছোট কল দেওয়ার জন্য সাইকেলের ব্যবস্থা , বিদ্যুৎ কর্মীদের জন্য সার্ভিস রুলস এর ব্যবস্থা করা , কর্মীরা বিপদজনক কাজে এবং ডিউটির সময় মারা গেলে সরকারের পক্ষ থেকে কর্মচারীর পরিবারের চাকরির ব্যবস্থা করা প্রভৃতি দাবি জানানো হয়েছে। ত্রিপুরা বিদ্যুৎ কর্পোরেশন এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এমএস কেলে সাহেব ২০১৫ সালে হেল্পার গ্রেড ২ কর্মীমীদের নিয়মিত করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাইন্যান্স ম্যানেজারদের রেগুলার এর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ।