BRAKING NEWS

Scientists are worried : করোনাবিধি নিয়ে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা

নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই (হি. স.) : সোমবার থেকে করোনা পর্বের যাবতীয় বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে ইংল্যান্ড থেকে । প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এহেন সিদ্ধান্তে ঝুকির মধ্যে আছে ব্রিটেন গোটা বিশ্ব । এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা । এবিষয়ে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘ল্যানসেট’-এর সম্পাদকের কাছে পাঠান এচিঠিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১২০০ জন বিজ্ঞানী।

নিউজিল্যান্ড, ইটালি এবং ইজরায়েল সরকারের বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের এক আন্তর্জাতিক অনলাইন শীর্ষক সম্মেলনেও। তাঁদের বক্তব্য, ব্রিটেন গোটা বিশ্বের কার্যত পরিবহণ ‘হাব’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাওয়া ও সেই সব দেশ থেকে নিজের নিজের দেশে ফিরে আসার জন্য ব্রিটেন একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের সেতু। লন্ডন-সহ ব্রিটেনের বিভিন্ন বিমানবন্দরে প্রচুর বিদেশি বিমান ওঠানামা করে। ব্রিটেনর সমুদ্রবন্দরগুলিও খুব ব্যস্ত থাকে। অতিমারি পর্বের যাবতীয় বিধিনিষেধ এখনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে সেই যাতায়াত ফের তুমুল গতিতে শুরু হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। তার ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য প্রচুর সংখ্যক মানুষ পেতে করোনাভাইরাসের রূপগুলির সুবিধা হবে। করোনাভাইরাসের রূপগুলির এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে আরও সুবিধা হবে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সিনিয়র উপদেষ্টা, ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসে মার্টিন-মোরেনো বলেছেন, “ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে আমি চমকে গিয়েছি। গভীর উদ্বেগের মত বিষয়। কেন তড়িঘড়ি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আমার মাথায় ঢুকছে না। ব্রিটেনে টিকাকরণ তাও কিছুটা হয়েছে। কিন্তু বহু দেশেই টিকাকরণের ছবিটা গভীর নৈরাশ্যের। সে ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে।”

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ১৭ জুলাই পর্যন্ত ব্রিটেনে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৬৭৪। মৃতের সংখ্যা ৪১। আর মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৮৩। এই সংক্রমণ রোখার জন্য ব্রিটেনে যে সার্বিক টিকাকরণের কাজ প্রায় সেরে ফেলেছে তা-ও নয়। গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত ব্রিটেনে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৩২ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এঁদের মধ্যে একটি কোভিড টিকা পেয়েছেন ৬৯.২ শতাংশ মানুষ। সাড়ে ৫৩ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন দু’টি টিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *