করিমগঞ্জ (অসম), ১৭ জুলাই (হি.স.) : প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরাম থেকে পাচারের পথে বিপুল পরিমাণের বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঙ্গে গাড়ি চালক আলতাফ উদ্দিনকেও আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্তকৃত সিগারেটের বাজার মূল্য আনুমানিক চার লক্ষ টাকা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে নিলামবাজার ও করিমগঞ্জ সদর থানার পুলিশ যৌথ অভিযানে নেমে কায়স্থগ্রাম এলাকায় অসম-ত্রিপুরা ৮ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি সাতকরা বোঝাই এমজেড ০১ পি ০৯৭৮ নম্বরের বলেরো পিকআপ ভ্যািন গাড়ি আটক করে। পুলিশের তাল্লাশি অভিযানে সাতকরার নীচে লুকিয়ে রাখা বৃহৎ পরিমাণের বার্মিজ সিগারেটের কার্টুন উদ্ধার করেন অভিযানকারীরা। পুলিশ তৎক্ষণাৎ গাড়ি চালক আলতাফ উদ্দিনকে তাঁদের কব্জায় নিয়ে নেয়। বলেরো পিকআপ গাড়ি এবং চালক নিলামবাজার পুলিশের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গোপন সূত্রের উপর ভিত্তি করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কায়স্থগ্রাম এলাকায় ত্রিপুরাগামী ৮ নম্বর জাতীয় সড়কে ওৎ পেতে বসেছিল পুলিশ বাহিনী। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এই সাফল্য লাভ করে। বলেরো পিকআপ গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে করিমগঞ্জের দিকে যেতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালাতেই চোখ ছানাবড়া পুলিশ দলের। সাতকরার নীচে থেকে চল্লিশ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধৃত গাড়ি চালক আলতাফ উদ্দিনের বাড়ি পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার বাজারিছড়া থানার অন্তর্গত ঝেরঝেরি এলাকায় বলে সে নাকি জানিয়েছে। বাজেয়াপ্তকৃত বার্মিজ সিগারেটের বাজার মুল্যৃ চার লক্ষাধিক টাকা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে অসম-মিজোরাম উভয় রাজ্যের সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জের বাজারিছড়া থানাধীন মেদলিছড়াকে করিডোর করে স্থানীয় একটি চক্র বার্মিজ সিগারেট সহ নানা ধরনের সামগ্রীর পাচার বাণিজ্যে চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে পুলিশের কাছে বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, রহস্যজনক ভাবে তাঁরা নীরব বলে সচেতন মহলের দাবি। মেদলিছড়া থেকে বেশ কয়েকটি পুলিশি চেকগেট পার হয়ে বেআইনি বার্মিজ সিগারেট কী ভাবে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বরাক উপত্যইকা সহ বহির্রাজ্যে পৌঁছতে পারছে, এই প্রশ্নের জবাব নেই কারোর কাছে। সম্প্রতি এই নির্দিষ্ট করিডোর দিয়ে পাচারের পথে করিমগঞ্জ বাইপাস এলাকায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার বার্মিজ সিগারেট ধরা পড়েছিল সীমান্ত বাহিনীর অভিযানে।