আগরতলা, ১৩ জুলাই (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনার ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তাই, ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রের কাছে স্পষ্টীকরণ চেয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, রাজ্যে করোনার ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্টের ১৩৮টি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। কিন্ত, ১১ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক পিআইবি-র মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ত্রিপুরায় করোনার ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্টের কোন প্রমান নেই। তবে, ত্রিপুরায় ১৩৮টি ডেল্টা ভেরিয়েন্টের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ফলে, জনমনে বিভ্রান্তির জেরে ত্রিপুরা গত ১২ জুলাই কেন্দ্রের কাছে স্পষ্টীকরণ চেয়েছে।
এ-বিষয়ে আজ শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, করোনার অনেক ভেরিয়েন্ট রয়েছে। গত এপ্রিল ও মে মাসের আরটি-পিসিআর পজিটিভ নমুনাগুলি জেনম সিকুয়েন্স জানার জন্য কল্যানীর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তার ভিত্তিতে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতর পর্যালোচনা করেছে। তিনি বলেন, গত ২৮ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে কল্যানীর রিপোর্ট বি.১.৬১৭.২ ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট বলে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সেই মতো, ত্রিপুরায় ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্টের অস্তিত্ব রয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত, ১১ জুলাই পিআইবি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ত্রিপুরায় ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। তবে, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের অস্তিত্ব রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, দুইটি রিপোর্ট কেন্দ্রের তরফে এসেছে। ফলে কোনটা সত্য সেটা জানার জন্য কেন্দ্রের দ্বারস্ত হয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তাঁর বক্তব্য, জনমনে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য গত ১২ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে স্পষ্টীকরণ চেয়েছে ত্রিপুরা সরকার।