BRAKING NEWS

Cabinet decides to appoint : মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাধারণ ডিগ্রী কলেজে ২০ জন ও ডিপ্লোমা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ৫ জন অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুলাই।। রাজ্যের ২২ টি সাধারণ ডিগ্রী কলেজগুলিতে ২০ জন নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা৷ সংশোধিত নিয়োগনীতি গ্রহণ করে টিপিএসসির মাধ্যমে পাঁচ বছরের জন্য এই পদগুলি পূরণ করার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের ছয়টি ডিপ্লোমা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের মধ্যে পাঁচটিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের সিধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ আজ মহাকরণে প্রেস কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন ২০১৪ সালের পর থেকে সাধারণ ডিগ্রী কলেজ গুলোতে অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়নি৷ তাই নিয়োগ নীতিতে সংশোধন করে এই পদগুলিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা৷

ইউজিসি গাইডলাইন অনুসারেই পাঁচ বছরের জন্য অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হবে৷ পরবর্তী সময়ে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আরো পাঁচ বছর সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ থাকবে৷পূর্বের নিয়োগনীতিতে একজন অধ্যক্ষ অবসরে যাওয়া পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকতেন৷ পূর্বের নিয়োগ নীতি অনুসারে মোট পদের অর্ধেক সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে ও অবশিষ্ট অর্ধেক পদ পদন্নোতির ভিত্তিতে পূরণ করা হতো৷ কিন্তু বর্তমান সংশোধিত নিয়ম নীতি অনুসারে ১০০ শতাংশ অধক্ষ পদে সরাসরি নিয়োগ করা হবে৷ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে ১৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে এই ক্ষেত্রে সুযোগ থাকবে৷ সাথে পি. এইচ. ডি, পাবলিকেশন, রিসার্চ, সেমিনার আয়োজন করার অভিজ্ঞতার বিষয়টিও স্থান পাবে৷ এই পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের প্রাথমিক বেতন হবে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ২০০ টাকা ও সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা৷ পাঁচটি ডিপ্লোমা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে এ.আই.সি.টি.ই নিয়ম অনুসারে অধ্যক্ষ নিয়োগের করা হবে৷ এ ক্ষেত্রও ডিগ্রি কলেজের ন্যায় একই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হবে৷
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে আরো জানান, রাজ্য সফরে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি, যে জেলায় পজিটিভিটি রেইট বেশি যেমন খোয়াই, উনকোটি ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিদর্শন করে সমস্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাজ্যের করোনা ব্যবস্থাপনাও খতিয়ে দেখেছেন৷ তার পাশাপাশি রাজ্যে করোনা পরীক্ষা, হেল ক্যাম্প, ওয়ার রুম, জরুরিকালীন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত শয্যা সংখ্যা, আসা কর্মীদের ভূমিকা, অক্সিজেন ব্যবস্থা, বিভিন্ন নাকায় মাস্ক বিরোধী অভিযান, জরিমানা আদায় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ইতিবাচক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন এবং করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের সমন্বয়ের প্রশংসা করেছে কেন্দ্রিয় প্রতিনিধি দলটি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *