আগরতলা, ১২ জুলাই (হি. স.) : সিপিআইএমের বর্ষীয়ান নেতা প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র করের বাড়িতে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে সোমবার আগরতলায় সিপিআইএম পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে এডি নগর পুলিশ লাইনে নিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রবীণ সিপিআইএম নেতা তথা কিষান সভার রাজ্য সম্পাদক পবিত্র করের বাড়িতে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও পুলিশের অভিযানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিআইএম। দলের সদর বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শুরু হতেই পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে ফেলে এবং আন্দোলন স্তব্ধ করে দেয়। পুলিশ আন্দোলনকারী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এডিনগর পুলিশ লাইনে। পুলিশের এধরনের ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিআইএম।
সিপিআইএম পশ্চিম জেলা সম্পাদক রতন দাস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিজেপি জোট সরকার ফ্যাসিস্ট সুলভ আচরণ শুরু করেছে। সিপিআইএম নেতা পবিত্র করের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে কোন ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই একতরফাভাবে তল্লাশি চালিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশের এধরনের তল্লাশিকে ফ্যাসিস্ট সুলভ আচরণ বলে উষ্মা করেছে সিপিআইএম।
রতন দাসের বক্তব্য, এ-ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে যখন প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানানো হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে পুলিশ তাদেরকে বাধা দিচ্ছে। ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র বলেন, কোভিড বিধি মেনে দলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। অথচ কোভিড বিধি মানা হচ্ছেনা অজুহাতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
পবিত্র বাবু কটাক্ষের সুরে বলেন, রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে সভা করছেন, বৈঠক করছেন, তখন পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধু একতরফাভাবে সিপিএম সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি অমান্য করার অভিযোগ এনে পুলিশ আন্দোলন ভেস্তে দিতে বল প্রয়োগ করছে। তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, এরাজ্যে শুধু শাসক দলকে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দিচ্ছে পুলিশ। এহেন পক্ষপাতমূলক আচরণ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র কর। পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সাথে তিনি দাবি করেন, পক্ষপাত মূলক আচরণ সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস হারাচ্ছেন।

