লন্ডন, ১২ জুলাই (হি.স.): ঘরের মাঠে স্বপ্নভঙ্গ ইংল্যান্ডের। ইউরো কাপে এ বারও শিকে ছিঁড়ল না ইংল্যান্ডের। ফের একবার তীরে এসেও তরী ডুবল ইংল্যান্ডের। পেনাল্টি শুট-আউটই কাল হল! ৩-২ ব্যবধানের পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে জয়লাভ করল ইতালি। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ১-১। রবিবার ইতালির বিরুদ্ধে খেতাবি লড়াইয়ে দু’মিনিটের মধ্যেই গোল তুলে নেয় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। স্কোরশিটে নাম তোলেন লুক শ। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে লিওনার্ডো বনুচ্চির গোলে সমতায় ফেরে আজ্জুরি-ব্রিগেড। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল হয়নি। পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডের মার্কাস র্যাশফোর্ড, জ্যাডন স্যাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকা মিস করেন। ইতালির হয়ে মিস করেন আন্দ্রেয়া বেলোত্তি এবং জর্জিনহো। কিন্তু গোলকিপার জিয়ানলুইগি ডোনারুমার জোড়া সেভে ইউরো কাপ গেল ইতালিতে।
ফাইনালের মতো মেগা ম্যাচে শুরুতেই গোল হজম করে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের জন্য চাপে পড়ে যায় মানচিনির দল। পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা থেকে সমতা ফেরাতে ব্যর্থ ইতালি। ৩৪ মিনিটে প্রতিপক্ষ বক্সের বাইরে থেকে চিয়েসার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বক্সের মধ্যে রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করায় পেনাল্টির আবেদন করে ইংল্যান্ড শিবির। যদিও রেফারি সরাসরি তা নাকচ করে দেন। আপফ্রন্টে এদিন আরও একবার বেশ ফ্যাকাসে দেখায় ইম্মোবাইলকে। তাঁর জায়গায় বেরাদ্দিকে মাঠে নামান ইতালি কোচ। এই পরিবর্তনের পরই আজ্জুরিদের আক্রমণে কিছুটা গতি আসে। ৬২ মিনিটে চিয়েসার এক দূরপাল্লার শট কোনওক্রমে বিপন্মুক্ত করেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক পিকফোর্ড। তবে মিনিট পাঁচেক বাদেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ইতালি। কর্নার থেকে ইনসিগনের ভাসানো বলে ভেরাত্তির হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তবে যোগ্য সুযোগ সন্ধানীর মতো সেই বল জালে জড়াতে ভুল হয়নি লিওনার্ডো বোনুচ্চির (১-১)। ম্যাচে প্রথমবারের জন্য চাপে পড়তে দেখা যায় ইংল্যান্ডকে। গোল হজমের পরেই জোড়া পরিবর্তন আনেন সাউথগেট। সাকা ও হেন্ডারসনকে মাঠে নামান তিনি। লক্ষ্য ছিল, পুনরায় মাঝমাঠের দখল নেওয়া। উল্টোদিকে, চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন চিয়েসা।
নির্ধারিত সময়ে স্কোর লাইনে আর পরিবর্তন না ঘটায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে এই পর্বে ইতালিকে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দেখায়। ১০৪ মিনিটে বেনারডেস্কি গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে ইংল্যান্ড গোলরক্ষক পিকফোর্ড কোনওক্রমে দলের পতন আটকান। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় পর্বে দু’দলের কাছেই সুযোগ এসেছিল ব্যবধান বাড়ানোর। সেমি-ফাইনালের পর খেতাবি লড়াইও ১২০ মিনিটে গড়ানোয় শেষ লগ্নে দু’দলকেই বেশ বিধ্বস্ত দেখায়। শেষমেশ ৩-২ ব্যবধানের পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে জয়লাভ করল ইতালি।

