বিশালগড়, ৮ জুলাই : বিশালগড়ের অফিসটিলার পুরানপল্লী এলাকার সাফাই কর্মীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হায়রে সমাজ! হতদরিদ্র পরিবারও বাঁচতে পারল না চোরের হাত থেকে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত যেন চোরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। চোরের দলের হানায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার। বিশালগড় অফিসটিলা পুরানপল্লী এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমিক শম্ভু কর্মকার। বিশালগড় পূর পরিষদের সাফাইয়ের কাজে নিযুক্ত। শম্ভু কর্মকার নামে ঐ ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো শম্ভু কর্মকার পুর পরিষদের অন্তর্গত বিশালগড় বাজারে সাফাইয়ের কাজ করতে সকালে চলে আসে।
অন্যদিকে তার স্ত্রী মঞ্জু কর্মকার অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে। সেও কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। দুজনেই বাড়িতে সামনের দরজায় তালা দিয়ে চলে আসে কাজের উদ্দেশ্যে। দুজনেই কাজ সেরে যখন বাড়িতে আসে ঠিক সে সময় দেখে বাড়ির সামনের দরজার তালা ছিল ,কিন্তু পেছনের দরজা ভেঙে চোরের দল ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। তার ঘরের সুকেশ ভেঙে সাফাই কাজ করে জমানো টাকা এবং ঘরে থাকা একটি মোবাইল সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চোরের দল নিয়ে যায়। প্রথমত ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় শম্ভু কর্মকারের স্ত্রী মঞ্জু কর্মকারের। কান্নায় ভেঙে পড়েন মঞ্জু কর্মকার। ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। মঞ্জু কর্মকারকে বিশালগড় থানায় দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেয় এলাকাবাসী। বিশালগড় থানায় ছুটে আসেন মঞ্জু কর্মকার। ঘটনাটি বিশালগড় থানায় জানিয়ে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চুরির ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে একেবারে হতভম্ব হয়ে পড়েছে। পুর পরিষদের সাফাইর কাজে নিযুক্ত কর্মীর বাড়িতে কি করে চোরের দল চুরি করতে পারে সেটা ভেবে পাচ্ছেন না পুলিশকর্মীরাও।