মুম্বই, ৭ জুলাই (হি.স.): বাড়ি ফেরা আর হল না, মুম্বইয়ের পি ডি হিন্দুজা হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনাবসান হয়েছে দিলীপ কুমারের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। মৃত্যুর সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী সায়রা বানু। স্বামীর প্রয়াণে অনেকটাই একা হয়ে গেলেন সায়রা বানু। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ সান্তাক্রুজের জুহু কবরস্তানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ কুমার। শ্বাসকষ্ট হওয়ার দরুণ গত ৩০ জুন হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দিলীপ কুমারকে। গত মাসে দু-দু’বার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এই শ্বাসকষ্টের জন্যেই। সেবারও হিন্দুজা হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু, এবার বাড়ি ফেরা আর হল না, চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন দিলীপ কুমার। এদিন সকালে চিকিৎসক জলিল পারকার জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার সকাল ৭.৩০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। হাসপাতাল থেকে মুম্বইয়ের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিলীপ কুমারের মরদেহ।
দিলীপ কুমারের প্রয়াণে শোকের আবহ সমস্ত মহলে। দিলীপ কুমারের প্রয়াণে শোক ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবন পট্টনায়েক প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতি : দিলীপ কুমারের শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি টুইট করে লিখেছেন, “দিলীপ কুমার নিজের মধ্যে উদীয়মান ভারতের ইতিহাসের সংক্ষিপ্তসার করেছিলেন। তাঁর প্রয়াণে একটি যুগের অবসান হল। দিলীপসাহেব চিরকাল ভারতের হৃদয়ে থাকবেন। তাঁর পরিবার ও অগণিত অনুরাগীদের সমবেদনা।”
প্রধানমন্ত্রী : শোক-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “দিলীপ কুমারজি অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁর কাজ বহু প্রজন্মকে বিমোহিত করেছে। তাঁকে একজন সিনেম্যাটিক কিংবদন্তী হিসেবে স্মরণে রাখবে দেশ। তাঁর চলে যাওয়ায় আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। ওঁর পরিবার, পরিজন এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : মমতা টুইটারে লিখেছেন, “সিনেমা জগতের বৈগ্রাহিক ব্যক্তিত্ব দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর অভিনয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মর সিনেমা প্রেমীদেরও মনে গেঁথে থাকবে। আমার আন্তরিক সমবেদনা সায়রা বানুকে।”