BRAKING NEWS

গ্রেফতার করা হবে না জানলেই পুলিশের সামনে হাজিরা দেবেন টুইটারের প্রধান

নয়াদিল্লি, ৬ জুলাই (হি. স.): উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যদি নিশ্চিত করে যে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না, তাহলেই তিনি পুলিশের সামনে হাজিরা দিতে রাজি। মঙ্গলবার কর্নাটক হাই কোর্টে এ কথা জানিয়েছেন টুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মাহেশ্বরী।


মঙ্গলবার জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটকে তৃতীয় নোটিস পাঠিয়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। তার আগে পূর্ববর্তী নোটিসের বিরোধিতায় মাহেশ্বরী একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবারই কর্ণাটক হাই কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। আগেই তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই নোটিসের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ মাহেশ্বরী। উত্তরপ্রদেশের লোনিতে এক মুসলিম বৃদ্ধের নিগ্রহের যে ভিডিও টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে তার প্রেক্ষিতেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।  


এর আগে হাই কোর্টের বিচারপতি জি নারিন্দার সিঙ্গল বেঞ্চ মাহেশ্বরীর গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপরই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এবার সেই পরিস্থিতিতে শুনানি ছিল মাহেশ্বরীর দায়ের করা মামলাটির। সেখানে ‘টুইটার ইন্ডিয়া’র কর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যদি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আদালতকে এই বয়ান দেয় যে তাঁরা আমাকে গ্রেফতার করবে না, তাহলে আমি নিজে গিয়ে হাজিরা দিতে পারি।’’


মাহেশ্বরী আদালতে আরও জানিয়েছেন, তিনি টুইটারের এক কর্মী মাত্র। সংস্থা আসলে চালান ডিরেক্টররা। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ কখনওই আমাকে সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে না।’’ যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বক্তব্য, মণীশ মাহেশ্বরী নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনিই টুইটারের কর্তা। সেই কারণেই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪১এ ধারায় তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাহলে মণীশ বলে দিন তিনি ভারতে টুইটারের কোন আধিকারিক চার্জে আছেন।


প্রসঙ্গত, এক মুসলিম বৃদ্ধকে মারধর ও নিগ্রহের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি, ভিডিওটি ভুয়ো। কিন্তু সেটিকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে টুইটারকে কাঠগড়ায় তুলেছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *