BRAKING NEWS

Tripura CM and Bangladesh PM : ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উষ্ণতা আরও বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো আম পেয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী বিনিময়ে আনারস পাঠাবেন

আগরতলা, ৫ জুলাই (হি. স.) : ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব-র জন্য ৩০০ কেজি আম পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ হাড়িভাঙ্গা আমের ১০টি প্যাকেট আজ আগরতলা স্থলবন্দরে গ্রহণ করেন সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হুসেন। আজ বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওই উপহার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো আম পেয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময়ে আনারস পাঠাবেন। তাঁর মতে, দুই দেশের মধ্যে আদান-প্রদানে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বহু নিদর্শন রয়েছে। দুই দেশ বরাবরই একে অপরের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। করোনাকালে ভারত বাংলাদেশকে টিকা পাঠিয়ে সাহায্য করেছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে আম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি-কেও পাঠিয়েছেন। আজ ত্রিপুরার জন্য আম পাঠালেন।

এ-বিষয়ে সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হুসেন বলেন, হাড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ আম। রংপুর জেলায় তার প্রচুর ফলন হয়। সেই আম শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ আগরতলা স্থলবন্দরে আখাউড়া প্রশাসন থেকে ১০টি প্যাকেটে ৩০০ কেজি আম গ্রহণ করেছি। এখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই আম পৌছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যথাযথভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই আম হস্তান্তর করা হবে।

তাঁর কথায়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই নিবিড়। দুই দেশের সম্পর্কে উষ্ণতা আরও বাড়ানোর জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই আম পাঠিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, এভাবে দুই দেশের সম্পর্কের ভিত আর মজবুত হবে।

এদিন বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে ওই আম গ্রহণ করেন। আম পেয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই ত্রিপুরার সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের নেতৃত্বও সে-কথা স্বীকার করেন। তাঁর কথায়, করোনার প্রকোপে বাংলাদেশেও ভয়াবহ পরিস্থিতি। ফলে, সকলের সুস্থতা কামনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খুব শিগ্রই গোটা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও ওই বিপদ কাটিয়ে উঠবে। তাঁর মতে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ সাফল্য ধরে রেখেছে। ওই দেশের জিডিপি বেড়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বেই তা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরার আনারস জগত বিখ্যাত। দুয়েক দিনের মধ্যে ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনারস পাঠিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। তাঁর দাবি, দুই দেশের আদান-প্রদান বহু পুরনো। এভাবেই সম্পর্ক আরও মজবুত এবং সুদৃঢ় হবে, বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *