BRAKING NEWS

StartUp India : ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভিশনকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার : কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী

আগরতলা, ৫ জুলাই : কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভিশনকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ-কথা বলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে দেশকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিশ্ব শ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশের তথ্য ও প্রযুক্তিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই তিনি ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া ইত্যাদি প্রকল্পগুলি চালু করেছিলেন। যা আজ দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলির পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও সফলভাবে বিস্তার ঘটেছে। আজ সচিবালয়ের ভিডিও কনফারেন্স হলে রাজ্যে প্রথমবারের মত আয়োজিত ত্রিপুরা স্টার্ট-আপ সপ্তাহের ভার্চুয়ালি উদ্ধোধন করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ একথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আজ কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, ত্রিপুরা সরকার, NASSCOM, STPI-এর যৌথ উদ্যোগে ত্রিপুরার স্টার্ট আপ আন্দোলনকে এক নতুন রূপ দিয়েছে। ত্রিপুরা স্টার্ট-আপ সপ্তাহের উদ্বোধনী দিনেই ২ হাজার যুবক যুবতী স্টার্ট-আপ-এর সাথে যুক্ত হয়েছেন। যা ত্রিপুরার স্টার্ট-আপ প্রকল্পের জন্য যথেষ্ট ইতিবাচক। কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যে ভিশন রয়েছে তা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া ডিজিটাল ইন্ডিয়ারই একটি অংশ।

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন সহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকা সত্বেও দেশ চলমান ছিল। আর এটা দেশের নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছিল। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই করোনাকালীন সময়ে আধার ভিত্তিক পেমেন্টের মাধ্যমে দেশের গ্রামে গ্রামে ৮ হাজার কোটি টাকা গরিবদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রদান করা হয়েছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদিজী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন ভারতকে এমন একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলব যেখানে দেশ নিজস্ব তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমেই সব কাজ করা হবে।

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, আধার হল দেশের জনগনের ডিজিটাল পরিচয় পত্র।বর্তমানে দেশের ১২৯ কোটি মানুষেরই ডিজিটাল পরিচয়পত্র আধারকার্ড রয়েছে। আধারকে মোবাইলের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে গরিবের জন্য চালু সমস্ত কল্যাণকারী প্রকল্পগুলির অর্থ ডিবিটির মাধ্যমে পৌছানো হচ্ছে।এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই কেন্দ্রীয় সরকার ৩০-৪০ টি প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১৬ লক্ষ কোটি টাকা সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রদান করেছে। এই সুবিধা লাভের জন্য দেশের ৪০ কোটি লোকের জনধন অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন দেশের ৭০ কোটি লোকের স্মার্ট ফোন রয়েছে। এরমধ্যে ত্রিপুরায় ফোন রয়েছে ৩০.৯ লক্ষ লোকের। দেশের ৭৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ত্রিপুরায় গরিব জনগনের জন্য চালু সমস্ত প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিতে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আহ্বান রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ। শুধু তাই নয়, কিযাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশের ১১ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১ লক্ষ কোটি টাকা প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

রবি শংকর প্রসাদ বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়কে স্বরোজগারী করা। স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়ার ভাবনা সেখান থেকেই শুরু হয়। উদ্দেশ্য হল দেশের যুবকদের জব ক্রিয়েটার হিসেবে তৈরী করা। দেশে বর্তমানে ৫১ হাজার স্টার্ট আপ চালু রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার স্টার্ট-আপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড চালু করেছে। এই ফান্ড থেকে ৮৪টি স্টার্ট-আপকে ৬ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। ত্রিপুরার স্টার্ট আপ শুধুমাত্র ভারতে নয় বাংলাদেশেরও বাজার পাবে। ত্রিপুরার পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে স্টার্ট-আপ প্রকল্পের অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে ভারত সরকার সর্বতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *