BRAKING NEWS

দেশের মধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি অংশের কৃষক ফসল বীমা যোজনার আওতায় এসেছেন : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ জুলাই : সমগ্র দেশের মধ্যে ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি কৃষক ফসল বীমা যোজনার আওতায় এসেছেন। শুধুমাত্র বীমা করানোই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সঠিক সময়ে ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। আজ সচিবালয় প্রাঙ্গণে ফসল বীমা সপ্তাহের প্রচার ভ্যানের যাত্রা শুরু করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সমগ্র দেশের সাথে রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে এই প্রচার ভ্যানের সূচনা হয়েছে। পতাকা নেড়ে এই কর্মসূচির সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সহ অন্যান্য অতিথিগণ।


অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। অক্টোবর মাস থেকেই বর্ধিত ১৯ টাকা ৪০ পয়সা দরে সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটা সময়ে যেখানে মানুষের পর্যন্ত বীমা করা হতো না, বর্তমানে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফসলের পর্যন্ত বীমা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৮০ শতাংশ কৃষক ফসল বীমার আওতায় এসেছেন। কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা। তাদের সুরক্ষিত রাখতেই এই উদ্যোগ। তবে শুধুমাত্র বীমার আওতায় আনলেই হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাদের ফসলের সঠিক ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ৩৪,৮০০ কৃষক ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় আড়াই কোটি টাকা পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই অর্থ পাঠানো হয়েছে। তবে এই প্রচার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের অবশিষ্ট কৃষকরাও ফসল বীমার আওতায় চলে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কৃষক কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে সর্বমোট প্রায় ৩০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। রাজ্যে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ফলে রাজ্যের কৃষকদের আয় বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার। সময়ের আগেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য পূরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ত্রিপুরার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কৃষকদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এই প্রচারমূলক কর্মসূচির ফলে ১০০ শতাংশ কৃষক ফসল বীমার আওতায় চলে আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, কৃষকগণ যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় তার জন্য এই ফসল বীমা কর্মসূচিকে আরও বৃহৎ পরিসরে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলা এবং মহকুমায় ৭ দিনব্যাপী এই প্রচার গাড়ির মাধ্যমে ফসল বীমার সুযোগ এবং সুবিধা সম্পর্কে জনজাগরণ তৈরি করা হবে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে রাজ্যের তিনগুণ বেশি কৃষকদের ফসল বীমার আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা চালু করে আরও বেশি সংখ্যায় কৃষকদের বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে বীমার অধিকাংশ অর্থ বহন করছে রাজ্য সরকার। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *