নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুন৷৷ রাজ্যে একদিনে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে ৬৪ হাজার ৯১৯ জনকে৷ শুক্রবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে৷ সরকারী সূত্রের খবর, এদিন শুধুমাত্র আঠার বছরের উর্ধদেরই দেয়া হয়েছে ৫৯ হাজার ২৩২ টি টিকা৷ সমস্ত বয়সের টিকাকরণের ক্ষেত্রে এদিন সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে উত্তর ত্রিপুরা জেলা৷ ওই জেলায় ১৯ হাজার ৪৮৭ জনকে দ্যেয়া হয়েছে টিকা৷ এর মধ্যে আঠার বছরের উর্ধদের রয়েছে ১৯ হাজার ২০৮ টি টিকা৷
এদিকে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৬৭ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে৷ পশ্চিম জেলায় দেয়া হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৪৪ জনকে৷ দক্ষিণ জেলায় দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৫৬ জনকে৷ উত্তর জেলায় দেয়া হয়েছে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৮৪ জনকে, সিপাহীজলায় দেয়া হয়েছে ২ লক্ষ ২১ হাজার ৫১ জনকে৷ গোমতী জেলায় দেয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৮০ জনকে৷ খোয়াইয় জেলায় দেয়া হয়েছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫৫৪ জনকে, ধলাই জেলায় দেয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৯২ জনকে এবং ঊনকোটি জেলায় টিকা দেয়া হয়েছে ৯৭ হাজার ১০৬ জনকে৷
এদিকে, রাজ্যে করোনার মৃত্যুর গ্রাফ নিম্নমুখী হতে চলেছে৷ তবে সংক্রমণ প্রায় একইভাবে ঊর্ধমুখী বলা যায়৷ এমনকি রাজ্যে করোনা নমুনা পরিক্ষা অনেকটাই কম হচ্ছে বলে চলে৷ ফলে আগামী দিনে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন মহলের৷ কারণ ইতিমধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে চলে৷ এদিকে আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে করোনা কারফিউ এবং নাইট কারফিউ’র পরবর্তী পর্যায়৷ বিশেষজ্ঞদের অভিমত সংক্রমনের গতি রুখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন এবং রোগী শনাক্ত জন্য করোনার নমুনা পরীক্ষা করা দরকার৷ কারণ উপসর্গহীন সংক্রমণ রয়েছে৷ ফলে বহু মানুষ নিজের সংক্রমণের কথা জানতে পারে না৷ ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪৬৭ জন৷
নমুনা পরীক্ষা হয় ১২,৩৩৭ জনের৷ মৃত্যু হয় ৫ জনের৷ পশ্চিম জেলা সংক্রমিত হয় ১০৫ জন, সিপাহীজলা জেলাতে সংক্রমিত হয় ৪১ জন, গোমতী জেলায় সংক্রমিত হয় ২৮ জন, দক্ষিণ জেলায় সংক্রমিত হয় ৫৪ জন, খোয়াই জেলায় সংক্রমিত হয় ২৮ জন, ধলাই জেলায় সংক্রমিত হয় ৪৭ জন, উত্তর জেলায় সংক্রমিত হয় ৭৯ জন এবং ঊনকোটি জেলায় সংক্রমিত হয় ৮৫ জন৷ সুস্থতার হার এবং আরোগ্য হয় ৯১.৯৮ শতাংশ এবং ৫৯৫ জন৷ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪২৭৩ জন৷

