গুয়াহাটি, ৩১ মে (হি.স.) : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছে গুয়াহাটি সহ অসমের বিভিন্ন জেলা। আজ সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ৯-টা ৫০ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে ৩.৮ ম্যাগনিটিউডের ভূকম্পে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আজ সংঘটিত ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল গতকালের সেই একই শোণিতপুরের পশ্চিমাঞ্চল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজির তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল শোণিতপুর জেলা সদর তেজপুর থেকে ৪৪ কিলেমিটার পশ্চিমে। ভূগৰ্ভের ২৪ কিলোমিটার গভীরে ২৬.৬৯ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৩৫ দ্রাঘিমাংশে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবারও বেলা ভারতীয় সময় ২-টা ২৩ মিনিট ৬-সেকেন্ডে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছিল গুয়াহাটি সহ গোটা অসম। কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.১-। গতকালের ভূমিকম্পেরও অভিকেন্দ্ৰ ছিল মধ্য অসমের শোণিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলি। আজকের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গুয়াহাটি ছাড়াও নগাঁও, হোজাই, মরিগাঁও, ওদালগুড়ি, দরং, কলিয়াবর প্রভৃতি সংলগ্ন জেলা।
গত প্রায় বছরখানেকের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ক্রমাগত ভূমিকম্প হচ্ছে। অসমের শোণিতপুর জেলা এবং অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মণিপুরে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১৯-এর ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৯৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। উত্তরপূর্বে ঘন ঘন ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির বিজ্ঞানী আরকে সিং বলেন, সিসমিক জোন ৫-এ অবস্থিত হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায়ই ছোটখাটো কম্পন অনুভূত হয়। এতে অস্বাভাবিক এবং আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কারণ নেই। তাঁর কথায়, ভারতীয় প্ল্যাট প্রতি বছর উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ৫ সেন্টিমিটার করে সরে। এতে ঘর্ষণ হয়। ফলে ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। তাঁর দাবি, অরুণাচল প্রদেশের উত্তর দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশি ভূমিকম্প হয়। তেমনি মণিপুর ও মিজোরামের পূর্ব দিকে মায়ানমার অঞ্চলে ক্রমাগত ঘর্ষণে ভূমিকম্প হয়। তার প্রভাবে ওই দুই রাজ্যেও ঘন ঘন ভূকম্প অনুভূত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সতর্কতাই একমাত্র অবলম্বন বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।