কলকাতা, ২৯ মে (হি. স.) : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলি করা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, শনিবার তার জবাব দিলেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
তথাগতবাবু টুইটে লেখেন, “আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে বদলি নিয়ে আমি এই হইহই কেন বুঝতে পারি না! তিনি আইএএস-এর মত একটি সর্বভারতীয় পরিষেবায় আছেন। এই জাতীয় আধিকারিকদের সময়ে সময়ে বদলি করা হয়। সঞ্জয় মিত্র, একজন পূর্ববর্তী সিএস একইভাবে বদলি হয়ে প্রতিরক্ষা সচিব হয়েছিলেন।“
এর জবাবে পার্থ মজুমদার লিখেছেন, “আবার নতুন কাউকে দেখতে হবে, তাকে গড়েপিঠে নিতে হবে, তাকে বিশ্বস্ত বানাতে হবে, তাকে প্রশাসক থেকে সফল প্রশংসক হিসেবে গড়ে করে তুলতে হবে… এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই এত হৈচৈ। তবে, পশ্চিমবঙ্গে হিজ মাষ্টার্ষ ভয়েস-এর অভাব নেই।“
গার্গী মুখার্জি লিখেছেন, “রিটায়ার্ড পার্সন নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা আর টানাটানি কেন পিসির? কোনও গোপন কথা জানে নাকি লোকটি? হয়তো জানে।“ এর জবাবে অতীন রাজ লিখেছেন, “জানেন তো ম্যাডাম একটা প্রবাদ বাক্য আছে বাংলায়/ইংরেজি/হিন্দি/উর্দু তে এবং আরও অনেক দেশী বিদেশী ভাষায় – “ওনারা আজ যা করছেন, কাল সেটা অন্য কেউ করবে। পরশু আবার অন্য আর একজন”। পরিবর্তনই সংসারের নিয়ম। তাই মনে রাখবেন যা হচ্ছে তা ভালোই হচ্ছে, আর কাল যা হবে সেটাও ভালো হবে।“
প্রসঙ্গতা, শুক্রবার ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কলাইকুণ্ডাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লি থেকে এক ফরমান জারি করে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রক ৩১ মে সোমবার সকাল দশটার মধ্যেই তাঁকে দিল্লির নর্থ ব্লকে হাজিরা দিতে বলেছে। মাত্র চারদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনে যাঁর কর্মজীবনের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দিয়েছিল কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রক, তাঁকে আচমকাই দিল্লিতে বদলির নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।