কলকাতা, ২৭ মে (হি. স.) : বৃহস্পতিবারও নারদ মামলায় ৪ নেতা-মন্ত্রীর জামিন হল না । বেঞ্চ জানাল, এই মামলায় শুক্রবার দুপুর ১২টায় ফের শুনানি হবে। তবে প্রথমে শোনা হবে ‘রিকল অ্যাপ্লিকেশন’টি।
এদিন মামলার সওয়াল জবাব পর্বে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দাবিগুলো আগে শুনতে হবে। সলিসিটর জেনারেল তো কয়েক ঘণ্টা ধরে বলেই যাবেন। এদিকে আমাদের কথা শোনা হচ্ছে না। আমাদের মক্কেলরা হেফাজতে রয়েছেন। সাধারণ বিচার পদ্ধতি লঙ্ঘন করে তাঁদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুনানি ৪-৫ দিন ধরে চলবে। আমার মক্কেলরা হেফাজতে থাকবে? আমাদের আবেদনগুলো এক পাশে রাখা যায় না। তুষার মেহতার সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের উত্তর দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই আমাদের আবেদন পুনরায় শোনা হোক।’’
ফিরহাদ হাকিমের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘জনসাধারণের ভয় দেখিয়ে জামিনের বিরোধিতা করা কোনও যুক্তি হতে পারে না। সাধারণ বিচারে অভিযুক্তরা জামিন পাওয়ার যোগ্য।’’ অভিষেকবাবুর সংযোজন, ‘‘ মেহতার প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছে তিনি আসলে জামিন নিয়ে কথা বলছেন না। অন্য বিষয়ে কথা বলছেন। আসলে উনি জামিনকে আটকানোর চেষ্টা করছেন।’’ সিঙ্ঘভির কথায়, ‘‘অভিযুক্তরা কিন্তু ১৭ মে মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতে জামিন পেয়েছিল। আর তার দুদিন পরই আইনশৃঙ্খলা খারাপ হওয়ার কারণ দেখিয়ে দেখিয়ে হলফনামা করা হল।’’
সিঙ্ঘভিকে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘কেবল জামিন মঞ্জুর করাটাই একমাত্র প্রশ্ন নয়। জামিন মঞ্জুর হলে তো পুরো মামলারই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে একটি উদ্বেগের প্রশ্ন রাখা হয়েছে। বিষয়টা কিন্তু অত সহজ নয়।’’
বেঞ্চকে কল্যাণবাবুর প্রশ্ন, ‘‘শুভেন্দু (অধিকারী) আর মুকুল (রায়)কে ডাকা হচ্ছে না কেন? ওঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে?’’ জবাবে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘আমি শুধুমাত্র আইনি প্রশ্নের জবাব দেব।’’
শুক্রবার দুপুর ২টোয় মামলা শুনানির আর্জি জানান অভিষেক। কল্যাণ বললেন, ‘‘১১টায় করা হোক, অভিষকের অসুবিধা হলে আমি সওয়াল করব।’’ অভিষেকের অনুরোধ, তবে ১২টায় হোক শুনানি। শুক্রবার কখন শুনানি? তা লিখিত ভাবে আইনজীবীদের জানাতে বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি সৌমেন সেন এদিন ছিলেন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে।

