নয়াদিল্লি, ২৩ মে (হি. স.) : দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা হোক চায় সব রাজ্য । এবিষয়ে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যগুলির থেকে বিস্তারিত পরামর্শ চেয়েছে কেন্দ্র । এরপরই দ্রুত দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে । রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পৌরহিত্যে সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গিয়েছে একাধিক বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। স্থগিত হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন প্রবেশিকাও। করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষার আয়োজন সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা করতে এই বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি যৌথ বৈঠকে পরীক্ষা আয়োজনের সমস্ত দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর ঠিক হয়েছে যে, পরীক্ষা হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়েরর সভাপতিত্বে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, প্রকাশ জাভড়েকর ও বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব সহ পদস্থ আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা বোর্ড বৈঠকে দু’টি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। প্রথমত, ৩ মাস ধরে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব। যেখানে একমাস ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি হবে ও পরবর্তী দুই মাসে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশিত হবে। সেখানে বলা হয়েছিল পরীক্ষা হবে স্রেফ মূল বিষয়গুলির। সেখান থেকে অন্যান্য বিষয়গুলির নম্বর বিন্যাস হবে। অন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র একটি ভাষা ও তিনটি অন্য বিষয়ে পরীক্ষা হবে। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার বিষয়ও বৈঠকে আলোচিত হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে জুলাইয়ের ১৫ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু করার ও সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। কেন্দ্রের প্রস্তাবের পাশাপাশি একাধিক রাজ্য নিজস্ব মতামত জানিয়েছে। তবে পরিস্থিতি বুঝে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছে রাজ্যগুলি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক টুইট করে জানিয়েছেন, অত্যন্ত সফল মিটিং হয়েছে। ২৫ মে এর মধ্যে প্রত্যেক রাজ্যকে লিখিত পরামর্শ পাঠাতে অনুরোধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এ-ও স্পষ্ট করেছেন, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সবার আগে।
এদিকে, পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া বলেছেন, টিকা করণের আগে দ্বাদশের পরীক্ষার আয়োজন ঠিক হবে না। তিনি বলেছেন, দ্বাদশের পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে ফাইজারের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের। সিসোদিয়া বলেন, দ্বাদশের ৯৫ শতাংশ পরীক্ষার্থীর বয়স সাড়ে সতেরো বছর। কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত যে, ওই পড়ুয়াদের কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের টিকা দেওয়া যায় কিনা।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে সমস্ত রাজ্যেরই বোর্ডের পরীক্ষা, সিবিএসই, আইসিএসই-র দ্বাদশের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এনটিএ সহ সমস্ত জাতীয় পরীক্ষার আয়োজনকারী অন্যান্য সংস্থাগুলি বিভিন্ন পরীক্ষা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রেখেছে।