নয়াদিল্লি, ২১ মে (হি.স.): কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চিকিৎসক-সহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা। তাঁদের জন্যই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর থেকে চাপ কমছে। দেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূয়সী প্রসংশা করে এমনই অভিমত পোষন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার ভিভিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে চিকিৎসক, প্যারামেডিকেল স্টাফ এবং অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কাশির একজন সেবক হিসেবে আমি কাশির সমস্ত বাসিন্দাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে আমাদের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যে কাজ করে চলেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নানা দিক থেকে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। এবার সংক্রমণের হার আগের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। রোগীদের বহুদিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। এর ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ বাড়ছে। এই অসাধারণ পরিস্থিতিতেও আমাদের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণেই এই চাপ সামলানো যাচ্ছে।” মোদী বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভ্যাকসিনের সুরক্ষার বিষয়টিকেও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিয়ে আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা সুরক্ষিত থেকে মানুষের সেবা করতে পারছেন, ভবিষ্যতে দেশের সকলকেই ভ্যাকসিনের সুরক্ষাকবচ প্রদান করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “এখন আমাদের নতুন মন্ত্র হল-‘যেখানে অসুখ সেখানেই চিকিৎসা’। এই নীতির ভিত্তিতে মাইক্রো-কন্টেন্টমেন্ট জোন তৈরি করে আপনারা যেভাবে শহর ও গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে ওষুধ বিতরণ করছেন, এটি খুবই ভাল উদ্যোগ।” করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই দেশে এই মুহূর্তে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের মধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের অবশ্যই সাবধানতা এবং প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।”