সিবিআই অফিসে ধর্ণা মমতার, যেন সাড়ে সাতাশ মাস আগের চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি

কলকাতা, ১৭ মে (হি. স) : যেন সাড়ে সাতাশ মাস আগের চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি। সোমবার নারদ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত চার নেতাকে সিবিআইয়ের গ্রেফতারের পর সিবিআই দফতরে গিয়ে ধর্ণায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ববি হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়— এই চারজনকে সিবিআই গোয়েন্দারা কলকাতায় সংস্থার আঞ্চলিক দফতরে নিয়ে যাওয়ামাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তেজিতভাবে সেখানে হাজির হন। সূত্রের খবর, দুর্নীতি—নিরোধক শাখার  গিয়ে বাধা পেয়ে অপেক্ষাগৃহে বসে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বেআইনিভাবে চার জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

সারদা তদন্তে ‘সহযোগিতা’ না করার অভিযোগ নিয়ে সিবিআই অফিসারেরা ২০১৯-এর ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হাজির হতেই পরিস্থিতি জটিল আকার নেয়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসে চরম সংঘাত শুরু করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশ আটকে দেয় সিবিআইকে। নজিরবিহীন ভাবে সিপি’র বাড়িতে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। পদস্থ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। এবং তার পরই ঘোষণা করেন, মোদী সরকারের হাত থেকে দেশের সংবিধানকে ‘বাঁচাতে’ তিনি অবিলম্বে নিজে ধর্নায় বসবেন। এই ধর্নাকে তিনি ‘সত্যাগ্রহ’ বলে অভিহিত করেন। ধৃত রাজীব কুমারকে ‘বিশ্বের সেরা পুলিশ অফিসারদের অন্যতম’ বলেও বর্ণনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সিবিআই সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছ থেকে অনুমতি মেলার পর নারদকাণ্ডে চার অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোমবারই আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই। একইসঙ্গে সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধেও আজ আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে।