কলকাতা, ১৩ মে (হি. স.) : কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় সরকারি প্যানেল। ওই প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছে, ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ ব্যবধান বাড়ানো যেতে পারে। দেশে তীব্র ভ্যাকসিন সঙ্কটের মধ্যে এই প্রস্তাব দিয়েছে সরকারি প্যানেল। তবে তারা জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে দুই ডোজের সময়সীমা বাড়ানো নিষ্প্রয়োজন। করোনা আক্রান্ত হলে প্রতিষেধক পরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি প্যানেল পরামর্শ দিয়েছে, সুস্থ হয়ে ওঠার ৬ মাস পর টিকা নেওয়া যাবে।
কোভিশিল্ডের প্রথম টিকা নেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর দেওয়া হয় দ্বিতীয় টিকা। দুই টিকা নেওয়ার ব্যবধান বাড়ানোর জন্য বৃহস্পতিবার পরামর্শ দিল সরকারি প্যানেল। ওই ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই ব্যবধান রয়েছে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের। তবে কোভ্যাক্সিন টিকার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
এই নিয়ে গত তিন মাসে দ্বিতীয়বার কোভিশিল্ডের দু’টি টিকা নেওয়ার ব্যবধান বাড়ানো প্রস্তাব এল। টিকাকরণের একেবারে শুরুতে কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার মধ্যে ব্যবধান ছিল ২৮ দিনের। বিশেষজ্ঞদের কমিটি মার্চ মাসে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে জানায়, ‘ভাল ফলের জন্য’ টিকার ব্যবধান ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করতে। বর্তমানে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ব্যবধানই মানা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সরকারি প্যানেল তা ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার পরামর্শ দিল।
টিকার এই ব্যবধান বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। বৃহস্পতিবার করা এক টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘টিকা পর্যাপ্ত মজুত নেই বলেই কি বিশেষজ্ঞ কমিটির এই প্রস্তাব? আমরা কি মোদী সরকারের থেকে একটু পরিচ্ছন্নতা আশা করতে পারি না’?