কলকাতা, ১১ মে (হি. স.) : মঙ্গলবার ভোরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চারতলার কার্নিশ বেয়ে এক রোগী পালানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি নজরে পড়তেই হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার করে ওই রোগীকে। জানা যায় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন এক করোনা রোগী। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রোগীদের মধ্যে।
তখন সবে আলো ফুটেছে। সাফাই কর্মীরাই প্রথম দেখতে পান কার্নিশে বসে এক রোগী। প্রত্যক্ষদর্শী এক কর্মী জানান, ওই ব্লকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। বিল্ডিং ভরতি করোনা রোগীতেই। কার্নিশে বসে থাকা ওই লোকটি যে করোনায় আক্রান্ত, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না।” “দাদা, ওখানে কী করছেন?” একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও কোনও জবাব দেননি ওই করোনা রোগী।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন, আসলে কার্নিশ টপকে পালাতে চেয়েছিলেন ওই করোনা রোগী। কিন্তু চারতলার কার্নিশে নেমে টের পান সেখান থেকে লাফ দিলে হাত পা ভেঙে যাবে। এদিকে ওখান থেকে যে ফের ওয়ার্ডে ফিরে যাবেন, সে উপায়ও নেই। কার্যত বাধ্য হয়েই চুপচাপ বসে পা দোলাচ্ছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা কার্নিশেই ছিলেন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়ে সুপার মানব নন্দী খবর দেন দমকল বিভাগে। খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরেও। সেখান থেকে লোকজন এসে পিপিই কিট পরে, লম্বা মই দিয়ে উদ্ধার করে ওই রোগীকে। কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে কার্নিশে নেমে পড়লেন রোগী? এ প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুপার।