ঢাকা, ২৪ এপ্রিল (হি. স.) : করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ডোজের টাকা অগ্রিম নিয়েও সময়মতো টিকা না দেওয়ায় ‘কোভিশিল্ড’ উৎংপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের উপরে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস।
শনিবার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দেড় কোটি ডোজ টিকার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়ার পর টিকা আটকানোর কোনও অধিকার সেরামের নেই।’ টিকার জন্য সেরামের উপরে যাতে চাপ তৈরি করা হয়, তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর উৎ পাদনকারী সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বেক্সিমকো’র এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো-কে দেড় কোটি ডোজ কোভিশিল্ড দেওয়ার কথা ছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারত থেকে আনানো সম্পূর্ণ টিকাই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস।
প্রথম দিকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা সরবরাহ করলেও ভারতে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতেই টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে বাংলাদেশে টিকার সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন টিকা না এলে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের টিকাকরণ কর্মসূচি।