BRAKING NEWS

দক্ষিণে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, উত্তরে শান্তিতেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন, ভোট পড়ল ৭৯.০৮ শতাংশ

কলকাতা, ২২ এপ্রিল (হি. স.) : করোনা আবহে কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজ্যে সমাপ্ত হল ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। বহস্পতিবার ষষ্ঠ দফায় ৪ জেলার ৪৩টি বিধানসভা আসনে ভোট হয়েছে। এদিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা গিয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে শান্তিতেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সন্ধে ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে মোট ভোট পড়েছে ৭৯.০৮ শতাংশ। করোনা বিধি মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলে প্রতিটি বুথে।

ষষ্ঠ দফায় পূর্ব বর্ধমানের ৮টি বিধানসভা, উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি বিধানসভা, উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা, এবং নদিয়ার ৯টি বিধানসভায় নির্বাচন হয় । একনজরে দেখা নেওয়া যাক সেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি, চোপড়া,  ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, হেমতাবাদ (এসসি), কালিয়াগঞ্জ (এসসি),  রায়গঞ্জ,  ইটাহার,  রিমপুর,  তেহট্ট,  পলাশিপাড়া, কালিগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কৃষ্ণনগর উত্তর,  নবদ্বীপ,  কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, বাগদা (এসসি), বনগাঁ উত্তর (এসসি), বনগাঁ দক্ষিণ (এসসি), গাইঘাটা (এসসি), স্বরূপনগর (এসসি),  বাদুড়িয়া, হাবড়া,  অশোকনগর, আমডাঙা, বীজপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল, নোয়াপাড়া, বারাকপুর, খড়দহ, দমদম উত্তর, ভাতার, পূর্বস্থলী দক্ষিণ, পূর্বস্থলী উত্তর, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম (এসসি), গলসি (এসসি)। জেলাওয়ারি প্রার্থী রয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের ৭২ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১২৬ জন, পূর্ব বর্ধমান ৪৩ জন, নদীয়া জেলায় ৬৫ জন। এই চারটি জেলায় মোট ৩০৬ জন প্রার্থী ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ষষ্ঠ দফায় পোলিং বুথের সংখ্যা ১০, ৮৯৭টি। ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা থেকে। চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।   কমিশন সূত্রের খবর, এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের ৯টি আসনে ভোট পড়েছে ৭৭.৯০ শতাংশ, নদিয়ার ৯টি আসনে ভোট পড়েছে ৮২.৭০ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে ভোট পড়েছে ৭৬.১৯ শতাংশ এবং পূর্ব বর্ধমানের ৮টি আসনে ৮২.১৩ শতাংশ।

এদিন কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া তেমন কোনও বড়সড় অশান্তির খবর সামনে আসেনি। কেতুগ্রামে একটি বুথের কাছে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এছাড়া গলসির সুজাপুর গ্রামে সকাল থেকেই দফায় দফায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুজাপুর গ্রামবাসীদের একাংশ নিরাপত্তার অভাবে ভোট বয়কট করে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। বোমাবাজির অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ওই দুই স্থানে কোনও গুলি চলেনি।  অশোকনগরের ট্যাংরা এলাকায় ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। ঘটনায় ভোটকর্মীদের বাস ভাঙচুরের পাশাপাশি বুথের সামনেই বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অশান্তির জেরে জখম হয় ২ তৃণমূল কর্মী। উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত হাবড়ায় ভোটে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির বিরুদ্ধে বুথ দখলের এবং সংখ্যালঘু মহিলা ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর মূল অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত জওয়ানদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বচসায়। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তিনি। বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই হাবড়ার বিভিন্ন বুথ থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসে। কোথাও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কোথাও আবার ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ব্যারাকপুর বিধানসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও শুনতে হয়েছে রাজকে। ব্যারাকপুরের লালকুঠি এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন রাজ চক্রবর্তী। ব্যারাকপুরের   লিচুবাগানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। মূলত ক্যাম্প অফিস করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। যা বচসা, হাতাহাতির পর সংঘর্ষে পরিণত হয়।অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এদিন সকাল থেকেই উতপ্ত হয় টিটাগড় । দফায় দফায় চলছে বোমাবাজিতে আহত হয় ৩ বিজেপি সমর্থক । বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিজেপি । বিজেপির ক্যাম্প অফিসও ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। কৃষ্ণনগরের উত্তরে ভোটকেন্দ্র পরিক্রমায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের তৃণমূলের প্রার্থী রুপোলি পর্দার পরিচিত মুখ কৌশানি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী  মুকুল রায়। যিনি কুড়ি বছর পর আবার বিধানসভা ভোটে লড়ছেন।ভোট চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বাগদা। পালটা আক্রমণ করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দি। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া মোটের উপর উত্তরের ভোটগ্রহণ শান্তিতেই চলছে। এদিন  বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)কে মারধরের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। এদিন রায়গঞ্জ কলেজপাড়ার ১৫৬, ১৫৭ এবং ১৫৭-এ নম্বর বুথের বাইরে ডিউটি করছিলেন অভিজিৎ কুন্ডু নামের ওই বিএলও।  

অশান্তি এড়ানোর পাশাপাশি ভোটের সময় কোভিড বিধির উপরও জোর দিয়েছে কমিশন। ভোটের লাইনে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতেও জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি ভোট গ্রহণ শুরুর আগে বুথকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বিগত দফাগুলোর মতো এই দফাতেও ভোটারদের গ্লাভস ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।  ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যাতায়াত ছাড়া সাধারণের যাতায়াতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ থাকে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে ভোট দাতাদের সামাজিক দূরত্ববিধি ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে নির্বাচন কমিশন।

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে হেভিওয়েট থেকে তারকাদের ছড়াছড়ি । একনজরে দেখে নেওয়া যাক ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে রাজ্যের ৪৩টি কেন্দ্রের প্রার্থীতালিকায় কে কোথায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন ।

চোপড়া : হামিদুল রহমান (তৃণমূল), মহম্মদ শাহিন আখতার (বিজেপি), আনায়ারুল হক (সিপিএম)

ইসলামপুর: আবদুল করিম চৌধুরি (তৃণমূল), সৌম্যরূপ মণ্ডল (বিজেপি), সাদিকুল ইসলাম (কংগ্রেস)

গোয়ালপোখর: মহম্মদ গুলাম রব্বানি (তৃণমূল), গুলাম সারওয়ার (বিজেপি), মাসুম নাসিদ এহসান (কংগ্রেস)

চাকুলিয়া: মিনহাজুল আরফিন আজাদ (তৃণমূল), সচিন প্রসাদ (বিজেপি), আলি ইমরান রামজ (ফব)

করণদিঘি: গৌতম পাল (তৃণমূল), সুভাষ সিং (বিজেপি), হাফিজুল ইকবাল (ফব)

হেমতাবাদ: সত্যজিৎ বর্মন (তৃণমূল), চন্দ্রিমা রায় (বিজেপি), ভুপেন্দ্রনাথ বর্মন (সিপিএম)

কালিয়াগঞ্জ: তপন দেব সিংহ (তৃণমূল), সৌমেন রায় (বিজেপি), প্রভাস সরকার (কংগ্রেস)

রায়গঞ্জ: কানাইয়ালাল আগরওয়াল (তৃণমূল), কৃষ্ণ কল্যাণী (বিজেপি), মোহিত সেনগুপ্ত (কংগ্রেস)

ইটাহার: মোসারফ হোসেন (তৃণমূল), অমিতকুমার কুণ্ডু (বিজেপি), শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় (সিপিআই)

তেহট্ট: তাপসকুমার সাহা (তৃণমূল), আশুতোষ পাল (বিজেপি), সুবোধ বিশ্বাস (সিপিএম)

পলাশিপাড়া: মানিক ভট্টাচার্য (তৃণমূল), বিভাসচন্দ্র মণ্ডল (বিজেপি), এমএস সাদি (সিপিএম)

কালীগঞ্জ: নাসিরউদ্দিন আহমেদ (তৃণমূল), অভিজিৎ ঘোষ (বিজেপি), আবদুল কাসেম (কংগ্রেস)

নাকাশিপাড়া: কল্লোল খাঁ (তৃণমূল), শান্তনু দেব (বিজেপি), শুক্লা সাহা চক্রবর্তী (সিপিএম)

চাপড়া: রুকবানুর রহমান (তৃণমূল), কল্যাণকুমার নন্দী (বিজেপি), কাঞ্চন মৈত্র (আরএসএমপি)

কৃষ্ণনগর উত্তর: কৌশানী মুখোপাধ্যায় (তৃণমূল), মুকুল রায় (বিজেপি), সিলভি সাহা (কংগ্রেস)

নবদ্বীপ: পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা (তৃণমূল), সিদ্ধার্থ নস্কর (বিজেপি), স্বর্ণেন্দু সিংহ (সিপিএম)

কৃষ্ণনগর দক্ষিণ: উজ্জ্বল বিশ্বাস (তৃণমূল), মহাদেব সরকার (বিজেপি), সুমিত বিশ্বাস (সিপিএম)

বাগদা: পরিতোষকুমার সাহা (তৃণমূল), বিশ্বজিৎ দাস (বিজেপি), প্রবীর কীর্তনিয়া (কংগ্রেস)

বনগাঁ উত্তর: শ্যামল রায় (তৃণমূল), অশোক কীর্তনিয়া (বিজেপি), পীযূষকান্তি সাহা (সিপিএম)

বনগাঁ দক্ষিণ: আলোরানি সরকার (তৃণমূল), স্বপন মজুমদার (বিজেপি), তাপসকুমার বিশ্বাস (সিপিএম)

গাইঘাটা: নরোত্তম বিশ্বাস (তৃণমূল), সুব্রত ঠাকুর (বিজেপি), কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর (সিপিআই)

স্বরূপনগর: বীণা মণ্ডল (তৃণমূল), বৃন্দাবন সরকার (বিজেপি), বিশ্বজিৎ মণ্ডল (সিপিএম)

বাদুড়িয়া: কাজি আবদুর রহিম (তৃণমূল), সুকল্যাণ বৈদ্য (বিজেপি), আবদুস সাত্তার (কংগ্রেস)

হাবড়া: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (তৃণমূল), রাহুল সিনহা (বিজেপি), ঋজিনন্দন বিশ্বাস (সিপিএম)

অশোকনগর: নারায়ণ গোস্বামী (তৃণমূল), তনুজা চক্রবর্তী (বিজেপি), তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় (আরএসএমপি)

আমডাঙা: রফিকুর রহমান (তৃণমূল), জয়দেব মান্না (বিজেপি), জামাল উদ্দিন (আরএসএমপি)

বীজপুর: সুবোধ অধিকারী (তৃণমূল), শুভ্রাংশু রায় (বিজেপি), সুকান্ত রক্ষিত (সিপিএম)

নৈহাটি: পার্থ ভৌমিক (তৃণমূল), ফাল্গুনী পাত্র (বিজেপি), ইন্দ্রাণী কুন্ডু মুখোপাধ্যায় (সিপিএম)

ভাটপাড়া: জিতেন্দ্র সাউ (তৃণমূল), পবন সিং (বিজেপি), ধর্মেন্দ্র সাউ (কংগ্রেস)

জগদ্দল: সোমনাথ শ্যাম (তৃণমূল), অরিন্দম ভট্টাচার্য (বিজেপি), নিমাই সাহা (ফব)

নোয়াপাড়: মঞ্জু বসু (তৃণমূল), সুনীল সিং (বিজেপি), শুভঙ্কর সরকার (কংগ্রেস)

ব্যারাকপুর: রাজ চক্রবর্তী (তৃণমূল), চন্দ্রমণি শুক্ল (বিজেপি), দেবাশিস ভৌমিক (সিপিএম)

খড়দহ: কাজল সিনহা (তৃণমূল), শীলভদ্র দত্ত (বিজেপি), দেবজ্যোতি দাস (সিপিএম)

দমদম উত্তর: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (তৃণমূল), অর্চনা মজুমদার (বিজেপি), তন্ময় ভট্টাচার্য (সিপিএম)

ভাতার: মনগোবিন্দ অধিকারী (তৃণমূল), মহেন্দ্র কোনার (বিজেপি), নজরুল হক (সিপিএম)

পূর্বস্থলি দক্ষিণ: স্বপন দেবনাথ (তৃণমূল), রাজীবকুমার ভৌমিক (বিজেপি), অভিজিৎ ভট্টাচার্য (কংগ্রেস)

পূর্বস্থলি উত্তর: তপন চট্টোপাধ্যায় (তৃণমূল), গোবর্ধন দাস (বিজেপি), প্রদীপকুমার সাহা (সিপিএম)

কাটোয়া: রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (তৃণমূল), শ্যামা মজুমদার (বিজেপি), প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায় (কংগ্রেস)

কেতুগ্রাম: শেখ শাহনওয়াজ (তৃণমূল), মথুরা ঘোষ (বিজেপি), মিজানুর রহমান (সিপিএম)

মঙ্গলকোট: অপূর্ব চৌধুরী (তৃণমূল), রানাপ্রতাপ গোস্বামী (বিজেপি), শাহজাহান চৌধুরী (সিপিএম)

আউসগ্রাম: অভেদানন্দ থান্ডের (তৃণমূল), কলিতা মাঝি (বিজেপি), চঞ্চল মাঝি (সিপিএম)

গলসি: নেপাল ঘোড়ুই (তৃণমূল), বিকাশ বিশ্বাস (বিজেপি), নন্দ পণ্ডিত (ফব)হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি

ডুয়ার্সের মেটেলিতে আইটিআই কলেজে অতিরিক্ত করোনা হাসপাতাল

কলকাতা, ২২ এপ্রিল (হি স)। ডুয়ার্সের মেটেলিতে আইটিআই কলেজে একটি অতিরিক্ত করোনা হাসপাতাল হচ্ছে। সেই সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলায় আরও ৮টি সেফ হোম চালু হবে।

বৃহস্পতিবার এই কথা জানান জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছি। এ সবের পাশাপাশি জেলার কোভিড হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাশের বিল্ডিংয়েও কোভিড আক্রান্তদের জন্য বেড বসানোর চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।’’

রাজ্যের উদ্যান ও পুষ্পচর্চা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব তথা জেলার করোনা বিষয়ক নোডাল অফিসার সুব্রত গুপ্ত জানান, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বেসরকারি নার্সিং হোম এবং জেলার স্বাস্থ্য, পূর্ত,সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করলাম। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এগুলি ফলপ্রসূ হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।’ 

জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার রমেন্দ্রনাথ প্রামানিক জানান, ‘জেলায় করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আজ জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১২৯ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী কম রয়েছে। ভ্যাক্সিনের যোগান কম। আমি এই বিষয় নিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছি। এই অবস্থায় আজ নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। উনি কোভিড হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আরো কোভিড হাসপাতাল ও সেফ হোম খোলার কথা বলেছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে আমাদের স্টাফদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’ একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি শহরেই ২ জন করোনা আক্রান্তর মৃত্যু হয়েছে। কোভিড আক্রান্তের বাড়ির পাশাপাশি গোটা শহর স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করে দিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *