নয়াদিল্লি, ২১ এপ্রিল (হি.স.) : অভিযোজনের মাধ্যমে নিজের চারিত্রিক গঠনে পরিবর্তন করে বারবার একাধিক রূপে ফিরে আসছে করোনা । যার ফলে ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ । এই করোনাতঙ্কের মধ্যে আশার খবর দিল আইসিএমআর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের গবেষকরা জানিয়েছেন, ব্রিটেন, ব্রাজিল-সহ করোনার একাধিক স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা রয়েছে ভারতীয় টিকা কোভ্যাক্সিনের। ফলে এই ডোজ নিলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে।
এ বিষয়ে ভারত বায়োটেকের প্রধান কৃষ্ণ এল্লা আগেই জানিয়েছেন, স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরিতার রিপোর্ট এখনও তাঁদের হাতে আসেনি। তবে খুব সম্প্রতি এ বিষয়ে জানা যাবে। কিন্তু আইসিএমআর ফুল মার্কস দিল কোভ্যাক্সিনকে। আইসিএমআরের গবেষণা বলছে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন তো বটেই, কোভ্যাক্সিন আরও একাধিক স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরী। আইসিএমআর ব্রিটেনের স্ট্রেন বি.১.১.৭, ব্রাজিলের স্ট্রেন বি.১.১.২৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন বি.১.৩৫১ স্ট্রেনের জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখেছে কোভ্যাক্সিন এই ভ্যারিয়েন্টগুলিকে রুখতে সক্ষম।
প্রসঙ্গত, দেশের একাধিক রাজ্যে ছড়িয়েছে বি.১.৬১৭। করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রের একাধিক নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৬১ শতাংশ ক্ষেত্রেই সেই ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্যও দায়ী হতে পারে করোনার এই স্ট্রেন। সেই আবহে বারবার প্রশ্ন উঠছিল স্ট্রেনকে কি রুখতে পারবে ভারতীয় ভ্যাকসিনগুলি? সেই প্রশ্নের উত্তর দিল আইসিএমআর। আর ‘মেড-ইন-ইন্ডিয়া’ কোভ্যাক্সিনের কার্যকরিতার পক্ষেই সওয়াল করল তারা। যদিও দেশে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণ ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের জন্য কি না তা এখনও জানা যায়নি। সে বিষয় খতিয়ে দেখছে হায়দরাবাদের সংস্থা সিসিএমবি।
কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল, স্ট্রেনগুলির বিরুদ্ধে কার্যকরী এই কোভ্যাক্সিন। যদিও তার কিছুটা উল্টো সুরেই কথা বলেছিলেন কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেকের প্রধান কৃষ্ণ এল্লা। তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে যে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ প্রকোপ বেড়েছে, তার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কার্যকরিতার তথ্য এখনও হাতে নেই। এ বিষয়ে তাঁর পরামর্শ, যদি কেন্দ্র ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনকে গুরুত্ব দেয়, তাহলে তার জন্য পৃথক ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। একজন নির্মাতা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না।