BRAKING NEWS

করোনা মোকাবিলায় ঘাটতি মেটাতে শিল্প কাজে অক্সিজেনে জোগানে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল(হি.স.) : করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে । এবার অক্সিজেনের মেটাতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার । আগামী বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল থেকে আর শিল্প কাজে অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে না । এবিষয়ে রবিবার সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা।  


উর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছিল। তার জেরে আগামী ২২ এপ্রিল  থেকে শিল্পের কাজে যে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়, তার জোগানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল কেন্দ্র। কয়েকটি ক্ষেত্রকে অবশ্য সেই তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। রবিবার সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। শিল্পের কাজে যে অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়, তার জোগানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন।


চিঠিতে তিনি জানান, উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেনের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষত মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো যে সব রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেখানে অক্সিজেনের চাহিদা আরও বেড়েছে। তা সামাল দিতেই শিল্পের কাজে ব্যবহৃত অক্সিজেনের সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। যে নিষেধাজ্ঞা আগামী ২২ এপ্রিল থেকে কার্যকরী হবে। তবে ন’টি শিল্পক্ষেত্রকে সেই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।


এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, হাসপাতালের ভাঁড়ারে যাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকে, সেজন্য এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতে করোনাভাইরাস মহামারীর থাবা পড়ার আগে চিকিৎসাজনিত কারণে রোজ ১,০০০-১,২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন হত। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল দেশে ৪,৭৯৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়েছে। গত এক বছরে আমরা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *