আগরতলা, ১৬ এপ্রিল (হি.স.)৷৷ ত্রিপুরায় নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (এনএলএফটি)-র দুই সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে ডিআইজি নর্দার্ন রেঞ্জ এল ডার্লঙের উপস্থিতিতে উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেছে৷ আজ শুক্রবার উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ ভানুপদ চক্রবর্তী এই খবর জানিয়েছেন৷ তারা এনএলএফটি (বিশ্বমোহন) গোষ্ঠীর সদস্য গোমতি জেলা উদয়পুরের বাসিন্দা উত্তম কিশোর জমাতিয়া এবং ডি. উমথাই গ্রুপের জোসেফ জমাতিয়া বলে চিহ্ণিত হয়েছে, পুলিশের দাবি৷
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তম কিশোর জমাতিয়া ২০০১ সালে উগ্রপন্থী দলে যোগ দিয়েছিল৷ বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তার প্রশিক্ষণ হয়েছে৷ এর পর এনএলএফটি সেকেন্ড লেফটেনেন্ট এসকে কলইয়ের অধীনে উত্তম কাজ করেছে৷ পুলিশের দাবি, ত্রিপুরায় উগ্রপন্থী কার্যকলাপের একাধিক ঘটনায় উত্তম যুক্ত রয়েছে৷ তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় চেচিংগাছড়া এলাকায় ্যম্বুশ করে ১৭ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে খুন, সিআরপিএফ-এর দুটি বাসে বিস্ফোরণ৷ এছাড়া বহু অপহরণ মামলায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পুলিশের কাছে রয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিপূর্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ উগ্রপন্থী মামলায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার অধীন বাইখোড়া পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল এবং দুবার উদয়পুর কারাগারে বন্দি ছিল৷ বর্তমানে উত্তম ডি উমথাই গ্রুপের সাথে যুক্ত রয়েছে এবং জোসেফ জমাতিয়ার নির্দেশে মায়ানমার থেকে ডিমাপুর দিয়ে অস্ত্র আমদানির কাজ করছে৷
উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশের কথায়, আত্মসমর্পণকারী উগ্রপন্থী জোসেফ জমাতিয়া এনএসসিএন (আইএম) এবং এনএলএফটি (উমথাই)-র মধ্যে সংযোগ স্থাপনে মূল ব্যক্তি হিসেবে কাজ করছিল৷ নাগাল্যান্ডের টাউন কমান্ডার হিসেবে জোসেফ ডিমাপুরে অবস্থান করছিল৷ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল মনরেগা তহবিলের ১৮ লক্ষ টাকা লুট করার মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ জম্পুইজলা থানায় দায়ের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ১৪৮/১৪৯/৩২৬/৩০৭/৩৮৬ এবং আর্মস অ্যাক্টের ২৭ ও ইউএলএ অ্যাক্টের ১৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল৷
উত্তর ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুই উগ্রপন্থী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইছে৷ তাই, তারা আত্মসমর্পণ করেছে৷ তাদের কাছ থেকে তিনটি রিভলভার এবং তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে৷

