গৃহবধূকে ধর্ষণও চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তিকে সাত বছর কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ১২ এপ্রিল৷৷ চার সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানী, ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত অভি রঞ্জন ত্রিপুরাকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাজা ঘোষণা করল বিলোনিয়া দায়রা ও জেলা আদালতের বিচারক৷ বিভিন্ন ধারাতে মোট আর্থিক জরিমানা সহ ১৫ বছরের সাজা ঘোষণা করলেও সমস্ত সাজা একযোগে কার্যকর করে সাত বছরের জন্য সাজা ঘোষণা করেন বিচারক৷


ঘটনা ২০১৯ সালের সেপ্ঢেম্বর মাসের নয় তারিখ বিলোনিয়া ঋষ্যমুখের মণিরামপুর এডিসি ভিলেজের মালুম বাড়ি এলাকায় আনুমানিক রাত্রি বারোটা নাগাদ৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় বাড়িতে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত অভিরঞ্জন ত্রিপুরা দরজা খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে৷ সে সময় তার পাশে ৪ সন্তান ঘুমিয়ে ছিল৷ জোর করে ধর্ষণের চেষ্টায় বিবস্ত্র করলে, আক্রান্ত মহিলার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায় সন্তানদের৷ পাশাপাশি এই ৪ সন্তান চিৎকার এর পর এলাকাবাসীরা টের পেয়ে ছুটে এসে অভিযুক্ত অভিনন্দন ত্রিপুরার হাত থেকে মহিলাকে রক্ষা করে৷


অবশেষে চার সন্তানের জননী পরের দিন সকাল বেলা ধবনি মোহন ত্রিপুরাকে সাথে নিয়ে বিলোনিয়া মহিলা থানাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করে৷ পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে৷ তদন্ত শেষ করে তদন্তকারী অফিসার মাফ্রু মগ চৌধুরী অভিযুক্ত অভিরঞ্জন ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪৫৭ ,৩৭৬, ৫১১ ,৫০৬ ধারায় নেয়া মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়৷ দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণের পর বিলোনিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ৪৫১ নং ধারায় ২ বছরের সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, ৫০৬ নং ধারায় ১ বছরের সাজা ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, ৩৫৪ নং ধারায় পাঁচ বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, ৩৫৪ (বি নং ধারায় সাত বছর সাজা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর তথা আইনজীবী আক্তার হোসেন মজুমদার৷ সাজা ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক উদিত চৌধুরী৷