BRAKING NEWS

কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচয়পত্র দেখতে পারে না, তৃণমূলের অভিযোগে সাড়া দিল কমিশন

কলকাতা, ৩ এপ্রিল (হি. স.) : ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখতে পারবেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটারদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখতে পারেন শুধু ফার্স্ট পোলিং অফিসার। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে কড়াভাবে এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের নির্বাচনী নোডাল অফিসার একে সিং এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগ মোহনকে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।


প্রথম দু’দফা ভোট চলাকালে বারংবার তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের প্রভাবিত করছে। কখনও বুথের ভিতর ঢুকে শংসাপত্র দেখতে চাওয়া, কখনও আবার গ্রামে ঢুকে ভোটারদের শাসানো, অভিযোগের অন্ত নেই। এই অবস্থাতেই নড়েচড়ে বসল কমিশন। শনিবার এডিজি আইন শৃঙ্খলা জগমোহন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার অশ্বিনী কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের সিইও। তাঁদের স্পষ্টই বলা হয়েছে বাহিনী শংসাপত্র দেখছে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।
নন্দীগ্রামের নির্বাচনের পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের পরিচয় পত্র ভেরিফিকেশন করছেন- এই ছবি নিয়ে শুক্রবার কমিশনে অভিযোগ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। নির্বাচনী বিধিতে এই ধরনের কাজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক্তিসার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করা আছে। এরই পাশাপাশি অভিযোগ, বিশেষত নন্দীগ্রামের বেশ কিছু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা রাজ্য পুলিশ বাহিনী ভেতরে ঢুকে প্রভাবিত করছে। তৃণমূল নেত্রী বারংবার এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।  অন্যান্য রাজনৈতিক দলও মুখ খুলেছে এই নিয়ে।
স্পষ্টতই নির্বাচনী বিধিতে বুথের ভেতর বাহিনী অথবা পুলিশ কারোরই ঢোকার এক্তিআর নেই। নিয়ম হল, পুলিশ বা বাহিনীকে বুথের ভেতর ঢুকতে গেলে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে। আর ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন এর দায়িত্ব ফাস্ট পোলিং অফিসারের। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও দেওয়া হয় কমিশনে।


এর পরেই এদিন সকালে এডিজি আইন শৃঙ্খলা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার অশ্বিনী কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইও। এই বৈঠকে অভিযোগ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। সিইও দুই আধিকারিককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কমিশনকে রিপোর্ট করতে বলেছেন। পাশাপাশি স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে এমনটা করা যাবে না ভবিষ্যতে। ১১ টি পরিচয়পত্র ভোটদানের জন্য বৈধ বলে বিবেচিত। এর মধ্যে যে কোনও একটা দিয়ে ভোট দেওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *