কলকাতা, ২ এপ্রিল (হি. স.) : কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের যেন আগামী দিনে আর ভোটের কাজে না মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনকে একথা জানিয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেস।
দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন নন্দীগ্রামের বয়ালে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাংলার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। মমতার করা সেই অভিযোগই এবার সরকারিভাবে কমিশনকে জানাল দল।
,
শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের এক শীর্ষস্তরীয় প্রতিনিধিদল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের বিদায়ী পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের শীর্ষনেতা যশবন্ত সিনহা, সাংসদ দোলা সেন, বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসকদলের তরফে দ্বিতীয় দফার ভোট নিয়ে মোট ৩০০টিরও বেশি অভিযোগ কমিশনে জানানো হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনারও।
তৃণমূলের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। বহু জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আসছে। আমি এর আগে কোনওদিন এভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ভোট হতে দেখিনি। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বুথে ইভিএম বিকল হওয়ার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শাসক শিবির।
বিদায়ী পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলছেন, “৩০০টি নির্দিষ্ট অভিযোগ আমরা জমা দিয়েছি। এই প্রথম ভারতবর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সহযোগিতা করছে। যেখানে বিজেপি জোর করে ভোট করার চেষ্টা করছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব। আমাদের দাবি, যেসব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের যেন পরবর্তীকালে ভোটের কাজে মোতায়েন করা না হয়।” সুব্রতবাবুর দাবি,”কমিশন যেন উপযুক্ত দায়িত্ব পালন করে। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করি সংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। কারণ, রাজ্যে আরও একমাস বেশ কয়েক দফার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন বাকি আছে।”