সিউড়ি, ৩০ মার্চ (হি. স.) : দুয়ারে নির্বাচন, শুরু হচ্ছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ। এর মাঝেই বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী প্রভাবিত থানার আধিকারিকদের নিয়ে দুই রাজ্যের শীর্ষ কর্তাদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। ঝাড়খণ্ড সীমান্ত শুরু হয়েছে নাকা চেকিং।
বুধবার বীরভূমে শুরু হচ্ছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ। চলবে আট দিন। এর মাঝেই বীরভূম ঝাড়খণ্ডের ১৮০ কিলোমিটার বর্ডার জুড়ে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। কারন সারা বছর বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ড সীমান্ত কার্যত অরক্ষিত থাকে। এই রাজ্যে ভোট শুরু হয়েছে আগেই। তবে বীরভূম জেলায় ভোট হবে শেষ দফায়। তাই বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ। এর আগেই ঝাড়খণ্ড সীমান্ত নজরদারি বাড়ানো বীরভূম জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই রাতের অন্ধকারে টহলদারি শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সীমান্তবর্তী ১২ টি স্থানে ইতিমধ্যেই নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে নির্বাচনের সময়ে যাতে কোন ভাবেই কোন দুস্কৃতীরা ঢুকতে না পারে তার জন্য শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না দুই রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। কারন বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের নলা, কুন্ডহীত, শিকারীপাড়া, রানীশ্বর, টোঙগা মত থানা গুলি মাওবাদী প্রভাবিত। পাশাপাশি বীরভূমের খয়রাশোল, নলহাটি, মহঃবাজার,রাজ নগর, লোকপুর থানা এলাকায় এক সময মাওবাদী গতিবিধি ছিল। তাই নির্বাচন পর্বে যে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুই রাজ্যের ডিআই জি পর্যায়ের আধিকারিকরা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। । দুই রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা ইতিমধ্যেই নির্বাচন পর্বে তথ্য আদনপ্রদানের বিষয়ে সহমত হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার মিরাজ খালিদ বলেন, “ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। দুই রাজ্যের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হযেছে।”
অন্যদিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্বে জেলা শাসকের দফতরে মধ্যেই বিরোধী দলের নেতা ছুরিকাহত হবার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ।বীরভূম জেলা শাসক দপ্তরের চারদিক ঘিরে ফেলা হয়েছে। যাতে কোন ভাবে বেআইনি অনুপ্রবেশ না করতে পারে। প্রশাসন ভবনের চারদিকে চেক গেট করা হয়েছে।