নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): শিশুর বিকাশে খেলনারও ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয় খেলনা এমনভাবে বানানো হয় যা শিশুদের চতুর্মুখী বিকাশে অবদান রাখে| তাই শিশুদের বিকাশে খেলনার ভূমিকা কী, পিতা-মাতার তা বোঝা উচিত এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও স্কুলে তা প্রয়োগ করা উচিত। শনিবার ভারতের প্রথম খেলনা মেলা ২০২১-এর উদ্বোধন করার পর এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ভার্চুয়ালি ভারতীয় খেলনা মেলা ২০২১-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সকলের সঙ্গে কথা বলে এটা জানতে পারছি, আমাদের দেশের খেলনা শিল্পে কতটা শক্তি লুকিয়ে রয়েছে। এই শক্তিকে বৃদ্ধি ও পরিচয় বৃদ্ধি, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের একটা বড় অংশ। সিন্ধু সভ্যতা, মহেঞ্জোদারো এবং হড়প্পা সভ্যতার সময়কার খেলনা নিয়ে গোটা বিশ্ব গবেষণা করেছে। প্রাচীন যুগে বিশ্বের ভ্রমণকারীরা যখন ভারতে আসতেন তখন ভারতের খেলাধুলা শিখতেন এবং নিজেদের সঙ্গে নিয়েও যেতেন। বর্তমানে যে দাবা খেলা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়, তা আগে ‘চতুরঙ্গ অথবা চাদুরঙ্গা’ নামে খেলা হাত। আধুনিক লুডু তখন ‘পিচ্চিসী’ রূপে খেলা হত।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এখানে খেলনা এমনভাবে বানানো হয় যা শিশুদের চতুর্মুখী বিকাশে অবদান রাখে। বর্তমানেও ভারতীয় খেলনা আধুনিক ফ্যান্সি খেলনাগুলির তুলনায় অনেক সহজ এবং সস্তা, সামাজিক-ভৌগোলিক পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত।….খেলনার যে বৈজ্ঞানিক দিক রয়েছে, শিশুদের বিকাশে খেলনার ভূমিকা কী, পিতা-মাতার তা বোঝা উচিত এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও স্কুলে তা প্রয়োগ করা উচিত। নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে প্লে-ভিত্তিক এবং ক্রিয়াকলাপ ভিত্তিক শিক্ষাকে বিস্তৃত পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ন্যাশনাল টয় অ্যাকশন প্ল্যানও তৈরি করা হয়েছে। খেলনা পর্যটনের সম্ভাবনার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে যদি মেড ইন ইন্ডিয়ার চাহিদা থাকে, তাহলে হ্যান্ড মেড ইন ইন্ডিয়ার চাহিদাও সমানভাবে বাড়ছে।”
ভারতীয় খেলনা মেলা ২০২১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি দেশের খেলনা প্রস্তুতকারীদের কাছে এমন খেলনা তৈরি করার জন্য আবেদন করতে চাই, যে খেলনা বাস্তুশাস্ত্র এবং মনোবিজ্ঞানের পক্ষে আরও ভাল হবে। আমরা কি খেলনাগুলিতে প্লাস্টিকের নূন্যতম ব্যবহার অথবা পুনর্ব্যবহারযোগ্য এমন উপাদান ব্যবহার করতে পারি না?” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খেলনা তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে।