নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৪ ফেব্রুয়ারি৷৷ কুড়ি লক্ষ টাকার মূল্যবান আগরের মাল লুট করার অভিযোগে অভিযুক্ত কদমতলা পুলিশের হেফাজতে৷ধৃত যুবকের নাম শাকির আহমেদ (৩০) পিতা ফয়জুল হক৷ কদমতলা থানার পুলিশ অভিযোগ মূলে একটি মামলা হাতে নিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে৷ অপর তিন অভিযুক্ত বর্তমানে পলাতক৷ধৃত শাকির আহমেদকে আগামীকাল জেলা আদালতে প্রেরণ করবে কদমতলা থানার পুলিশ৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,গত ১৩ জানুয়ারি অসমের হোজাই জেলার গোপালনগরের বাসিন্দা রুহুল আলম পিতা মখলিছ উদ্দিন উত্তর জেলার কদমতলা থানা এলাকার ঝেরঝেরী এলাকা থেকে সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার মূল্যবান আগরের মাল ক্রয় করেন৷বৈধ লাইসেন্স ধারী আগর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বনদপ্তরের ছাড়পত্র হিসাবে টিপি সহযোগে ১৬ ব্যাগে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার আগরের মাল ক্রয় করেন৷১৩ জানুয়ারি রাত আনুমানিক এগারোটা নাগাদ অসমের হোজাইর নীলবাগানের শাকির আহমেদ, করিমগঞ্জের কাঠালতলীর আজির উদ্দিন ও উত্তর জেলার চুরাইবাড়ির বাসিন্দা ওয়ারিছ আলী ওরফে বাদুড় ১৬ ব্যাগ আগরের মালগুলি ত্রিপুরা অসম সীমান্ত ঝেরঝেরী থেকে হুজাই পৌঁছে দেওয়ার জন্য আগরের মালের মালিক রুহুল আলমের কাছ থেকে বুঝে নেয়৷ ওই মালের মালিক রুহুল আলমের সাথে ওদের পুরনো ব্যবসায়ী সম্পর্ক থাকাতে তার কুড়ি লক্ষ টাকার আগরের মাল পৌঁছে দেওয়াতে রাজি হয়ে যান৷
কিন্তু ত্রিপুরা সীমান্তের ঝেরঝেরী থেকে আসাম সীমান্তে প্রবেশের ২০০ মিটার পর মাল বহন করে নিয়ে যাওয়া তিন যুবক মালের মালিক রুহুল আলমকে ফোন করে জানায় গাড়ি থেকে ১৬ ব্যাগ প্রস্তুত করা আগরের মাল গাড়ি থেকে কোথায় যেন পড়ে গেছে৷ তারপর মালের মালিক অনেক খুজাখুজির পর তার ক্রয় করা আগরের মাল গুলি না পেয়ে স্থানীয় কদমতলা থানার শরণাপন্ন হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ অভিযোগে উল্লেখ করেন বৈধভাবে ক্রয় করা আগরের মালগুলি তার বাড়ি হোজাই পৌঁছে দেবার নাম ডাম্পার গাড়ি দিয়ে অসম প্রবেশ করার সাথে সাথে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফোন করে জানানো হয় মালগুলি গাড়ি থেকে পড়ে গেছে৷
কিন্তু রুহুল আলমের অভিযোগ, মাল বহন করে নিয়ে যাওয়া শাকির আহমেদ, আজির উদ্দিন, ওয়ারিছ আলী বাদুড় ও ডাম্পার গাড়ির চালক গিয়াস উদ্দিন ঝেরঝেরীর বাসিন্দা ১৬ ব্যাগে মজুদ করা ২০ লক্ষ টাকার প্রস্তুত করা আগরের মাল চক্রান্ত মূলক লুট করেছে৷তার সঠিক বিচার চেয়ে কদমতলা থানায় অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে আগরের মালের মালিক রুহুল আলম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ কদমতলা থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ নাম্বারের ভারতীয় দণ্ডবিধির সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা হাতে নিয়ে ওই ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত শাকির আহমেদকে আজ কদমতলা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে৷ বর্তমানে অভিযুক্ত শাকির আহমেদ কদমতলা থানার হেফাজতে রয়েছে৷ আগামীকাল অভিযুক্তকে জেলা আদালতে প্রেরণ করবে পুলিশ৷ পাশাপাশি অপর তিন অভিযুক্ত বর্তমানে পলাতক হলেও তাদের গ্রেফতার ও লুট করা ২০ লক্ষ টাকার আগরের প্রস্তুত করা মাল উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে কদমতলা থানার পুলিশ৷