আগরতলা, ২২ জানুয়ারি (হি. স.)৷৷ ধলাই নদী থেকে নিখোঁজ ইমামের মৃতদেহ উদ্ধার হল ৷ গত সোমবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন৷ স্থানীয় জনগণ ধলাই যদি-তে আজ তাঁর ভাসমান মৃতদেহ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন৷
স্থানীয় জনগণের দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, টানা পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর ধলাই জেলার কমলপুর দুই নম্বর কলাছড়ির মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা ইমাম আব্দুল বারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ দক্ষিণ মেথির মিয়ায় ধলাই নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷ স্থানীয় লোকজন মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে কমলপুর থানায় খবর দেন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কমলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী দেবনাথ এবং কমলপুর থানার ওসি সঞ্জীব দেববর্মা৷ তাঁদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন৷ মৃতদেহ শনাক্ত করা হয় সেখানেই, জানিয়েছে পুলিশ৷
এদিকে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ খবর পাঠানো হয় ফরেনসিক টিমকেও৷ ফরেন্সিক টিমের কর্মকর্তারা ছুটে এসে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন৷ প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে ইমাম আব্দুল বারীরকে হত্যা করে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ মৃতদেহ উদ্ধারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, আব্দুল বারীর নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের তৎপরতা গত চারদিন ধরে অব্যাহত ছিল৷ তাঁকে খুঁজে বের করার জন্য ডগ স্কোয়াড কাজে লাগানো হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত পাঁচ দিনের মাথায় ধলাই নদী থেকে তাঁর ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ ঘটনাটি একটি হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনগণ আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন৷ পুলিশ অবশ্য মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে৷ সঠিক তদন্ত হলে এই ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে স্থানীয় জনগণ মনে করেন৷