করিমগঞ্জ (অসম), ২২ জানুয়ারি (হি.স.) : মেঘালয়ের কয়লা খনিতে এক দুর্ঘটনায় অসমের ছয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শ্রমিক করিমগঞ্জ জেলার বলে মেঘালয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে।
মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের রিম্বই গ্রামের একটি কয়লা খাদানে কাজ করার সময় এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খনি থেকে শ্রমিকদের তুলে আনার মেশিনের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মেশিনের একটি অংশ ভেঙে প্রায় ১৫০ ফুট গভীরে চলে যায়। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল এখন পর্যন্ত মাত্র ছয় জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে মেঘালয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। নিহত উদ্ধারকৃত ছয় শ্রমিকের মধ্যে চার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতদের মকবুল হুসেন, আলি হুসেন, দিলোয়ার হুসেন এবং জিলাল হুসেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দিলোয়ার হুসেনের বাড়ি করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত রাতাবাড়ি থানার জালালাবাদ গ্রামে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব জয়ন্তিয়াপাহাড়ের জেলাশাসক ই খারমালকি জানিয়েছেন, স্থানীয় রিম্বর গ্রামের এক কয়লা খাদানে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শনাক্তকৃত মৃত শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়িতে ইতিমধ্যে খবর পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন জেলাশাসক ই খারমালকি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার সান অঞ্চলের একটি কয়লা খাদানে সংঘটিত এক দুর্ঘটনায় অসমের ধুবড়ির ১৫ জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। সেদিন সংলগ্ন লাইতেন নদীর জল হু হু করে কয়লা খাদানে ঢুকে পড়েছিল। সে সময় মাত্র পাঁচজন শ্রমিকের জীবন রক্ষা করা গেলেও, খনিতে আটকা পড়া অন্য ১০ জন শ্রমিকের খোঁজ চলছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। আটকে পড়া শ্রমিকদের খোঁজে সন্ধান অভিযান চালাতে বিদেশ থেকেও উদ্ধারকারী দল এসেছিল। কিন্তু কোনও হাদিশ না পেয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০ শ্রমিকের কোনও খবর আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।