নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যের পৃথক স্থানে দুজেনর অস্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে৷ দুটি ঘটনাতেই ফাঁসিতে ঝুলন্ত আবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান দুটি ঘটনাই আত্মহত্যার৷ তারপরও পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে, রাজ্যে ইদানিংকালে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে৷
আমতলী থানা এলাকার মহেশখলার দাসপাড়ায় আত্মহত্যা করেছে এক ব্যক্তি৷ ওই ব্যক্তির নাম শ্যামল সরকার৷ জানাজায় গতকাল রাতে স্ত্রী এবং সন্তান বাপের বাড়িতে গিয়েছিল৷ শ্যামল দাস একা রাতে বাড়িতে এসেছিল৷পরিবারের লোকজনদের অনুপস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই ব্যক্তি৷বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামল দাসের স্ত্রী এবং সন্তান বাপের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন৷ বাড়িতে ফিরে এসে শ্যামল দাসের স্ত্রী লক্ষ করেন ঘরের ভেতর দিয়ে দরজা জানালা সব বন্ধ করা৷
বাইরে থেকে ডাকাডাকি করল ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না শ্যামল দাসের স্ত্রী৷ বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর কোন ধরনের সাড়া না পাওয়ায় শ্যামল দাসের স্ত্রীর মনে সন্দেহ দেখা দেয়৷ তিনি বিষয়টি পাড়া-প্রতিবেশীদের জানান৷প্রতিবেশীরা এসে ও তাকে ডাকাডাকি করে, কোনো উত্তর মেলেনি৷ শেষপর্যন্ত খবর দেওয়া হয় আমতলী থানার পুলিশকে৷খবর পেয়ে সকাল আটটা নাগাদ আমতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা লক্ষ্য করেন শ্যামল দাসের দেহ ফাঁসিতে ঝুলছে৷
ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শ্যামল দাসের স্ত্রী সহ স্থানীয় লোকজন৷পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়৷কেন ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে সে সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি৷ পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে পরিবারের তেমন কোনো ঝামেলা ছিল না৷ আমতলী থানার পুলিশ প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ শ্যামল দাসের আত্মহত্যার সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার জনমনে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
এদিকে, কল্যাণ পুর থানা এলাকার উত্তর কমলনগরে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে৷ সাথে টির নাম স্বর্ণালী দাস৷ সংবাদ সূত্রে জানা গেছে বুধবার রাতে স্বর্ণালী দাস নামে ওই কলেজছাত্রী নিজ ঘরেই ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে৷ বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজনর ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জানান এবং খবর পাঠানো হয় কল্যাণপুর থানায়৷ খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন৷ কলানপুর থানার পুলিশ এসে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়৷কলেজছাত্রীর ফাঁসিতে আত্মহত্যার ঘটনা সংবাদে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে৷ আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি৷
পুলিশ প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত মামলা গ্রহণ করে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার পেছনে কী রহস্য আত্মগোপন করে রয়েছে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে৷প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রণয়ঘটিত কোনো কারণেই কলেজপড়ুয়া ওই ছাত্রী ফাঁসিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে৷ তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কল্যাণপুর থানার পুলিশ৷কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবারের লোকজন শোকগ্রস্ত৷তারা কোনোভাবেই এ আত্মহত্যার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না৷

