নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জানুয়ারি৷৷ ‘আমাদের ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’, এই ভাবনাকে সামনে রেখে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩৯ তম আগরতলা বইমেলা হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হবে৷ আজ সোমবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নম্বর হল-এ আগরতলা বইমেলা পরিচালন কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
আজকের সভায় আগরতলা বইমেলার পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেন, আগরতলা বইমেলা রাজ্যের এক ঐতিহ্য, একে সবসময়ই সরকার এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে৷ কোভিড-১৯জনিত পরিস্থিতিতেও সরকার চাইছে আগরতলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হোক৷ এবারের আগরতলা বইমেলা কোভিড-১৯জনিত সকল সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে আয়োজন করা হবে৷ প্রত্যেকটি স্টলে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার, ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব৷
সভায় উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বইয়ের প্রচার ও প্রসারে সরকার সদা সচেষ্ট৷ এবারের বইমেলায় বই বিক্রেতাদের রেজিস্ট্রেশন ফি নেওয়া হবে না৷ তাছাড়া সভায় উত্থাপিত দাবি অনুযায়ী স্টল ফি এবং বিদ্যুৎ মাশুলও যাতে বই বিক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন৷
সভায় আলোচনা করতে গিয়ে আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক প্রণব সরকার বইমেলায় যাত্রী যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে টিআরটিসি বাস সার্ভিসের সংখ্যা বাড়ানো সহ বই প্রকাশকদের বিভিন্ন দাবি বিবেচনা করার জন্য বইমেলা পরিচালন কমিটির কাছে অনুরোধ জানান৷ তাছাড়া সভায় আলোচনায় অংশ নেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবলকুমার দে, তথ্য ও সংসৃকতি দফতরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্রা, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব, তথ্য ও সংসৃকতি দফতরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের সম্পাদক শুভব্রত দেব, দ্য অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী প্রমুখ৷
সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য উচ্চশিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান ড় অরুণোদয় সাহা, এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্যদেও পোদ্দার, রাজ্যভিত্তিক সাংসৃকতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ দেব সহ বিভিন্ন দফতর, সামাজিক সংস্থার প্রতিনিধিগণের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ৷