নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লুর কোন খবর নেই বলে জানিয়েছেন সমাজ কল্যাণ সমাজ শিক্ষা এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা৷ শনিবার আগরতলায় সরকারি বাসভবনে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী জানান এখনো পর্যন্ত রাজ্যের কোথাও থেকে মৃত্যুর কোনো সংবাদ নেই৷ এখনো পর্যন্ত যেসব হাঁস-মুরগি ও পাখির মৃত্যু হয়েছে সেগুলি ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে মারা গেছে বলে স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী৷
বার্ড ফ্লু সম্পর্কে অযথা আতঙ্কিত না হতে পশু পাখির পালক এবং সাধারণ মানুষজনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী৷ ভারত সম্পর্কে প্রাণী পালক পশুপালক সহ সকল স্তরের জনগণকে সচেতন করতে দপ্তরের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা আরো বলেন ডিম মাংস ইত্যাদি ভাল করে সিদ্ধ করে খেতে হবে৷
ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেলে কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না বলেও তিনি মনে করেন৷ বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী৷বার্ড ফ্লু আতঙ্ক সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী জানান যেসব জায়গায় পশুপাখি মৃত্যু হয়েছে সেসব চাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়৷নমুনা পরীক্ষায় কোথাও থেকে বার্ড ফ্লুতে মৃত্যুর কোনো সংবাদ নেই৷
স্বাভাবিক কারণেই বার্ড ফ্লু আতঙ্ক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি৷স্পর্শ কাতর এই বিষয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী আরো জানান দেশের কয়েকটি রাজ্যে বার্ড ফ্লু দেখা দেওয়ায় প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এর পক্ষ থেকে গত ৭ জানুয়ারি রাজ্যেও সর্তকতা জারি করা হয়েছে৷পশুপাখি মড়ক এই ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতন থাকা জরুরি বলে তিনি মনে করেন৷ সেজন্যই কয়েকটি রাজ্যে বার্ড ফ্লুর জীবাণু পাওয়ার পর রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এর তরফ থেকে আগাম সর্তকতা জারি করা হয়েছে৷
এ বিষয়ে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রত্যেক কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷ এজন্য এ হেল্প লাইন খোলা হয়েছে বলে জানান দপ্তরের মন্ত্রী৷কোথাও বার্ডফ্লুর লক্ষণ দেখা দিলে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরকে এ বিষয়ে অবগত করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী৷তিনি আরো জানান গত আট নয় বছরের মধ্যে রাজ্যে বার্ড ফ্লু হয়নি৷তিনি জানান ২০০৮ সালে এপ্রিল মাসে এবং পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে রাজ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমিত হয়েছিল৷

