ঢাকা, ৮ জানুয়ারি (হি. স.) : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিল বাংলাদেশ সরকার। তবে অনুমতি দিলেও কবে থেকে এবং কিসের ভিত্তিতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ওই ভ্যাকসিন আমদানি করে দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করতে পারবে।
গত বছরই করোনা ভ্যাকসিন ক্রয় নিয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিকমো ফার্মাসিটিউক্যালসের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সংস্থাটির কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন ক্রয় করবে বেক্সিমকো। গত ৪ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন দেশে আনতে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। বৃহস্পতিবার করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিতে বৈঠকে বসেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি কমিটির সদস্যরা। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ১৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি ভ্যাকসিনটি জরুরি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন যা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিটিউট উৎপাদন করছে, সেই ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য বেক্সিমকোকে ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমদানির ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইল না।’