কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর(হি. স.):বিধানসভা নির্বাচনে জোট করতে চলেছে বাম-কংগ্রেস, দীর্ঘদিন থেকে এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছিল দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার এই জোটের পক্ষে সম্মতি দিল কংগ্রেস হাইকমান্ডও। সূত্রের খবর, আসন সমঝোতা নিয়ে বামেদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই সিদ্ধান্তকে সাদরে আহবান জানিয়েছেন বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী।
এদিন তিনি কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “স্বৈরাচারী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই এর কোন বিকল্প নেই। আমরা বহুদিন আগেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কংগ্রেস এবং কেন্দ্র কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সিদ্ধান্তকে যদি এআইসিসি সীলমোহর দিয়ে থাকে তবে তা আগামী দিনে এগোতে সাহায্য করবে।”
এরপরে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি জানান, “যেভাবে পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং তার সুযোগ নিয়ে বিজেপি যেভাবে পশ্চিমবাংলায় ধ্বংস করার ব্যবস্থা করছে এই দুটোই বাংলার জন্য সর্বনাশা। আগামীদিনের তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সমগ্র শক্তিকে জোট বাঁধা মূল কাজ। সে কাজের দিকেই আমরা আগামী দিনে এগোবো।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেইবার জোট হলেও মতাদর্শগত দিক থেকে দুই দলের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সিঙ্গুরে সভা চলাকালীন অধীর চৌধুরীর বক্তব্য রাখার সময় অদূরে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছিলেন সীতারাম ইয়াচুরি। অধীরবাবুর বক্তব্য শেষ করার পরে তিনি মঞ্চে ওঠেন। পরে অবশ্য রাহুল গান্ধী এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পার্ক সার্কাস ময়দান যৌথভাবে সভা করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ ভরাডুবি হয়েছিল এই জোটের। এমনকি মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বাম- কংগ্রেসের জোট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, যদি আগে থেকেই আরও জোরালোভাবে প্রচার চালাতে জোট তাহলে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল অনেকটাই অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু পুরানো ভুল আর পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ বাম-কংগ্রেস। সূত্রের খবর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কংগ্রেস হাইকমান্ড থেকে জানানো হয়েছে, আজকেই জোটের কথা ঘোষণা করে দিতে।