মুম্বই, ৮ ডিসেম্বর (হি.স.): কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সোমবার সমর্থন জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট সরকার। এই জোটের মধ্যে থাকা শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু বুধবার বনধে মিশ্র সাড়া পাওয়া গেল মহারাষ্ট্র থেকে। দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি। মেট্রো, রেল, মনোরেল ও অন্যান্য গণপরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক ছন্দে চলেছে। কিন্তু বাণিজ্য নগরী পাশের শহর থানেতে বনধের প্রভাব চোখে পড়ার মতন ছিল। মলকাপুরে স্থানীয় কৃষক সংগঠনের তরফ থেকে বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
নবজীবন এক্সপ্রেসওয়েকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে বনধ সমর্থনকারীরা। এদিন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বালাসাহেব থরাট জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন তিনটি কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী। এতে মুনাফা হবে পুঁজিপতিদের। সেই কারণেই কংগ্রেস এর বিরুদ্ধাচরণ করছে। বিজেপির তরফ থেকে গোটা বিষয়টিকে নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, রাজনৈতিক স্বার্থ দেখে এই বনধ হচ্ছে না। কৃষকদের সমর্থনে এই বনধ হচ্ছে। প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে এই বনধকে সমর্থন করা। মুম্বইয়ের স্বাভাবিক যান চলাচল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিবসেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, বনধের নামে মুম্বইকে অবরুদ্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। বাণিজ্য নগরী জনজীবন ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে একে স্তব্ধ করে রাখা যাবে না। সচল রাখতে হত।
উল্লেখ করা যেতে পারে মুম্বইতে বনধের প্রভাব না পড়লেও রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর যেরকম পুনে, কোলহাপুরে বনধের প্রভাব চোখে পড়ার মতন ছিল। পুনেতে ছোট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেপারী মহাসংঘ বনধকে সমর্থন জানিয়েছিল। শহরের অন্যতম ব্যাস্ত সড়ক লক্ষ্মী রোড এদিন শুনশান ছিল। শহরের কৃষি বাজার সমিতি পুরোপুরি বন্ধ ছিল। বনধে সর্বাত্মক প্রভাব পড়ে নাসিকে। অন্যান্য সাধারণ বাজার পুরোপুরি বন্ধ থেকেছে। কোলহাপুরে শাভিমানি শেতকারি (কৃষক) সংগঠনের তরফ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের কুশপুতুল পোড়ানো হয়।