কৃষক আন্দোলন নিয়ে পাল্টা বিরোধীদের কটাক্ষ বিজেপির

নয়াদিল্লি, ৭ ডিসেম্বর (হি. স.): কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন। কৃষকদের ডাকা এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে, আরজেডি, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি, বামপন্থী দলগুলো  সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। কৃষক আন্দোলনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যুক্ত হতে চাওয়া নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মনে করেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্যই এই পথ অবলম্বন করেছে বিরোধী দলগুলো।


সোমবার রাজধানী দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্যই বিরোধিতা করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। এই সকল রাজনৈতিক দলগুলি নিজের পূর্বের কৃতকর্ম ভুলে গিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন কংগ্রেসের দলীয় ইস্তেহারে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছিল ক্ষমতায় এলে এপিএমসি অ্যাক্ট বিলোপ করা হবে। উৎপাদিত ফসল নিয়ে বাণিজ্য করার পাশাপাশি শুল্কহীন রফতানি করার দাবি নিজেদের ইস্তেহারে করেছিল কংগ্রেস। এখন বিরোধী দলগুলি নতুন কৃষি আইনের বিপক্ষে আন্দোলনে ঝাঁপিয়েছে। অথচ ইউপিএ সরকারের আমলে কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য আজকের মতই একই পথে হাঁটা হয়েছিল। কৃষক নেতাদের তরফ থেকে বারেবারে দাবি করা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকে এই আন্দোলন থেকে বিরত থাকার। কিন্তু কৃষক নেতাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে আন্দোলনের জোর করে প্রবেশ করতে চাইছে কংগ্রেস। মোদী সরকারের বিরুদ্ধচারণ করার লক্ষ্যেই এই কাজ করে চলেছে কংগ্রেস। সিএএ আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেছেন শুধুমাত্র কৃষক আন্দোলন নয় কংগ্রেস দেখা যাচ্ছে যেকোনো আন্দোলনে ঝাপাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সিএএ বিরোধী থেকে শাহীনবাগ আন্দোলন সবেতেই জড়িয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের নাম। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে কটাক্ষ করে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, এখন শরদ পাওয়ার ইউটার্ন নিচ্ছেন। অথচ কৃষি মন্ত্রী থাকাকালীন দেশের সবকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কৃষি ক্ষেত্রে বেসরকারি কোম্পানির প্রবেশ করানোর আহ্বান করেছিলেন তিনি। এর থেকে স্পষ্ট এই সকল নেতারা দ্বিচারিতা করছেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে, রাজধানী দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর একাধিক বৈঠকেও কোন রফাসূত্র বেরিয়ে আসেনি। কেন্দ্র আইন সংশোধনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কৃষক নেতারা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড়। ৯ ডিসেম্বর ফের দুপক্ষের মধ্যে বৈঠকে বসা হবে বিজ্ঞান ভবনে।